প্রতীকী ছবি।
একে ঘাড়ের উপরে নিঃশ্বাস ফেলছে কাজখেকো প্রযুক্তি। তার উপরে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই দুইয়ের জেরে ইতিমধ্যেই চিন্তায় ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। মঙ্গলবার নতুন করে তার রক্তচাপ বাড়াল মার্কিন মুলুকে এই ভিসা আরও কঠোর হওয়ার প্রস্তাব। যা কার্যকর হলে বন্ধ হতে পারে এইচ-১বি ভিসা থাকা কর্মীদের স্বামী বা স্ত্রীর সেখানে কাজের আইনি সুযোগ।
দক্ষ কর্মী টানতে ২০১৫ সালে বিশেষ আইন চালু করেন বারাক ওবামা। এতে এইচ-৪ ভিসা থাকলে, এইচ-১বি ভিসা থাকা কর্মীদের স্বামী বা স্ত্রীও মার্কিন মুলুকে কাজ করার সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়। এখন এই সুবিধা পান ৭০ হাজারেরও বেশি ভারতীয়। এইচ-৪ ভিসার মোট আবেদনের ৯০ শতাংশই হয় এ দেশ থেকে। কিন্তু এ দিন সেই আইনই খারিজের প্রস্তাব দিয়েছেন ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের ডিরেক্টর ফ্রান্সিস সিস্না।
তিনি জানান, স্বামী বা স্ত্রীর কাজের সুযোগ বন্ধ-সহ এইচ-১বি ভিসা মঞ্জুরের ব্যবস্থা আরও কঠোর করার ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। জোর দেওয়া হয়েছে ভিসার অপব্যবহার বন্ধেও। কয়েক মাসের মধ্যেই এই নিয়ম আনা হতে পারে।
ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকদের যুক্তি, এইচ-১বি ভিসার উদ্দেশ্য অন্য দেশ থেকে সবচেয়ে দক্ষ কর্মীদের মার্কিন মুলুকে আনা। কিন্তু আদপে ওই ভিসায় আসা কর্মীরা কাজ ‘কেড়ে নিয়েছেন’ ভূমিপুত্রদের।
মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সংগঠন ন্যাসকমের অন্যতম কর্তা শিবেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘পরিসংখ্যান বলছে এইচ-১বি ভিসার কর্মীরা আমেরিকায় আরও কাজের সুযোগ তৈরি করেছেন। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে, মার্কিন সংস্থাগুলির পক্ষে দক্ষ কর্মী ধরে রাখাই কঠিন হবে।’’
তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই উদ্বেগ প্রকাশে নারাজ কেন্দ্র। সাউথ ব্লক সূত্র জানিয়েছে, এটা প্রস্তাব মাত্র। এ রকম অনেক প্রস্তাবই মার্কিন সেনেটে
জমা পড়ে ও তা নিয়ে বিতর্ক চলে। বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু জানান, ভারতীয়দের স্বার্থ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিয়ে কথা বলবেন মার্কিন সরকারের সঙ্গে। তুলে ধরা হবে সেখানকার অর্থনীতিতে ভারতীয়দের অবদানের কথা। কেন্দ্রের আশা, এই প্রস্তাবও শেষ পর্যন্ত কার্যকর হবে না।