Crude Oil

তেল নিয়ে তির বিরোধীদের

তেল মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের মে মাসে ভারতের কেনা অশোধিত তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ১০৯.৫ ডলার। গত ২০ মার্চ তা নেমেছে ৭০.৬৯ ডলারে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৩ ০৫:৫৩
Share:

বিশ্ব বাজারে ভারতের কেনা অশোধিত তেলের দর কমেছে লিটার প্রতি ১৬ টাকারও বেশি। প্রতীকী ছবি।

গত বছর তেলে উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাইয়ের পরে ৩০৫ দিন কেটে গিয়েছে। এই সময়ে বিশ্ব বাজারে ভারতের কেনা অশোধিত তেলের দর কমেছে লিটার প্রতি ১৬ টাকারও বেশি। রাশিয়ার থেকে সস্তার তেল কেনাও বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দর একচুলও নড়েনি। সেই তথ্য তুলে ফের জ্বালানির কোপে আমজনতার দুর্ভোগে পড়া নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল বিরোধী কংগ্রেস। খেলার মতো ‘টস’ করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গে তুলনা করে তাদের মুখপাত্র গৌরব বল্লভের কটাক্ষ, ‘‘মোদী সরকারের বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তেলের দাম নির্ধারণের নীতি হল— হেড পড়লে আমি (সরকার) জিতব। টেল পড়লে তুমি (জনতা) হারবে।’’ তাঁর দাবি, শুল্ক ছাঁটাই না করেও কেন্দ্র শুধুমাত্র অশোধিত তেলের সস্তা হওয়ার সুযোগ ক্রেতাদের পৌঁছ দিলেই ভারতে লিটার প্রতি পেট্রল-ডিজ়েলের দাম ১৬.৭৫ টাকা কমানো সম্ভব।

Advertisement

তেলের দর বাজারের উপরে প্রথম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইউপিএ সরকার। সেই সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে দেশে তেলের দামের ওঠাপড়ার জন্য কংগ্রেস ও ইউপিএ জমানাকে বিভিন্ন সময়ে দায়ী করেছেন মোদী সরকারের মন্ত্রীরা। বিরোধীদের অবশ্য পাল্টা প্রশ্ন, অশোধিত তেল চড়লে দ্রুত দেশে দাম বাড়ায় তেল সংস্থাগুলি। কিন্তু বিশ্ব বাজারে দর যখন নামে, তখন দেশে কেন সেই যুক্তিতে তা কমে না? তাদের অভিযোগ, আসলে যখন অশোধিত তেল দামি, তখন ভুগবে দেশবাসী। আর তা সস্তা হলে ফায়দা তুলবে সরকার।

গৌরবের দাবি, তেল মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের মে মাসে ভারতের কেনা অশোধিত তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ১০৯.৫ ডলার। গত ২০ মার্চ তা নেমেছে ৭০.৬৯ ডলারে। অর্থাৎ, লিটার ও টাকার হিসাবে গত বছরে তা ছিল লিটার প্রতি ৫৩.৪৫ টাকা। হয়েছে ৩৬.৬৮ টাকা। তাই শুল্ক ছাঁটাই না করেই পেট্রল ও ডিজ়েলের দাম ১৬.৭৫ টাকা কমানো সম্ভব।

Advertisement

তার উপর রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনা বাড়িয়ে চলেছে ভারত। গৌরবের বক্তব্য, তাতে গত ন’মাসে দেশে তেল কেনার খরচ ব্যারেল প্রতি ২ ডলার কমেছে। সেই সুবিধাই বা কেন দেশের ক্রেতার হাতে পৌঁছনো হল না, প্রশ্ন তাঁদের। কারও নাম করলেও এর সুবিধা বেসরকারি সংস্থাগুলি পাচ্ছে, সেই ইঙ্গিতও করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি ছাড়া আর কে রাশিয়ার তেল কিনছে? বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে, বেশিরভাগটাই কিনছে বেসরকারি সংস্থাগুলি। তা হলে তারা সস্তার সেই তেল শোধন করে বিক্রি করছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement