প্রতীকী ছবি।
এপ্রিল এবং মে মাসে লকডাউনের বিরূপ প্রভাব যে কর সংগ্রহের উপর পড়বে, তা এক রকম প্রত্যাশিতই ছিল। মঙ্গলবার আয়কর দফতরের এক সূত্র জানাল, সেই আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে ভাল রকম ধাক্কা খেয়েছে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের প্রত্যক্ষ কর বাবদ কেন্দ্রের আয়। ১৫ জুন পর্যন্ত তা এক বছর আগের তুলনায় ৩১% কমেছে। এর মধ্যে আগাম কর্পোরেট কর সংগ্রহ কমেছে প্রায় ৭৯%।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে অর্থবর্ষের প্রথম দু’মাস লকডাউন চলেছে। শিল্প মহল সূত্রের খবর, এই ঘরবন্দির সময়কালে দেশের প্রায় ৮০% আর্থিক কার্যকলাপই ছিল বন্ধ। তার প্রভাবই পড়েছে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহে। আয়কর দফতরের এক আধিকারিক এ দিন জানান, প্রথম ত্রৈমাসিকে সামগ্রিক ভাবে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ ৩১% কমে হয়েছে ১,৩৭,৮২৫ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবর্ষের একই সময়ে ছিল ১,৯৯,৭৫৫ কোটি। প্রসঙ্গত, এই ত্রৈমাসিকের আগাম কর জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল ১৫ জুন।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য, অর্থনীতি শ্লথ হচ্ছিল করোনা সংক্রমণের আগে থেকেই। সে কারণেই ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ আগের বছরের তুলনায় কমেছিল। তার উপর এই ত্রৈমাসিকে যোগ হয়েছে লকডাউনের ধাক্কা। ফলে কর সংগ্রহ কমে যাওয়ার মধ্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আশঙ্কার দিক হল, অর্থবর্ষের শেষে গিয়ে এই ছবি কতটা খারাপ হবে। ভাঁড়ারের এই অবস্থা সামাল দিতে কী করবে কেন্দ্র। বিশেষ করে যখন কর্পোরেট করের হার কমিয়েও এখনও পর্যন্ত তেমন লাভ হয়নি। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ দিন জানিয়েছেন, অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বাজেটের সময়ে যে সমস্ত হিসেব কষে কেন্দ্র এগিয়েছিল, তার কোনওটাই মেলেনি। ফলে নতুন পরিকল্পনা করতে হবে।