ভারতে ক্রেতাকে সরাসরি পণ্য বিপণনের ব্যবসা (ডিরেক্ট সেলিং) দীর্ঘ দিনের। প্রতীকী ছবি।
ভারতে ক্রেতাকে সরাসরি পণ্য বিপণনের ব্যবসা (ডিরেক্ট সেলিং) দীর্ঘ দিনের। কিন্তু আলাদা বিধি না থাকায় এক সময় ‘পনজ়ি’ বা ভুয়ো অর্থলগ্নি প্রকল্পের সঙ্গে এক সারিতে পড়ার অভিযোগ ওঠে এটির বিরুদ্ধে। যা নিয়ে দানা বাঁধে বিতর্ক। বছর দুয়েক আগে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক সরাসরি বিপণনের আলাদা আইনের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট বিধি তৈরি করে। সেই বিধি অনুযায়ী, এই ব্যবসায় যুক্ত সংস্থা এবং বিক্রেতাদের কাজকর্মে নজরদারির ব্যবস্থা গড়ার কথা রাজ্যগুলির। তাদের এই কাজে সাহায্য করতে সার্বিক ভাবে খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করার লক্ষ্যে বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ল স্কুল অব ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি-র সঙ্গে হাত মেলাল ইন্ডিয়ান ডিরেক্ট সেলিং অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএসএ)।
অতীতে ভুয়ো অর্থলগ্নি প্রকল্পের সঙ্গে এক সারিতে বসার অভিযোগ উঠলেও সরাসরি বিপণন সংস্থাগুলির বক্তব্য ছিল, তারা পণ্য বেচে। বাড়তি আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা তোলে না। ফলে তারা অর্থলগ্নি সংস্থা নয়। এ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের পরে ২০১৬-তে জারি হয় এই ব্যবসার নির্দেশিকা। ২০২১-এ আইন অনুযায়ী তৈরি হয় বিধি। তবে বিক্রেতার উপর নজরদারির বিষয়টি গুরুত্ব পায়। শুক্রবার কলকাতায় আইডিএসএ-এর অনুষ্ঠানের ফাঁকে সংগঠনের চেয়ারম্যান রজত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেরল-সহ কিছু রাজ্য বিধি অনুযায়ী নির্দেশিকা এনেছে। এ ছাড়া, পাঁচটি রাজ্য নজরদারির কাঠামোও গড়েছে। তাঁদের বক্তব্য, বিধিতে এরসার্বিক ধারণা দেওয়া আছে। বিভিন্ন রাজ্যে তা কার্যকরের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য ও স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যগুলিকে সাহায্য করতে এই সঙ্গে এই জোট। আশা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দু’তিন মাসে স্পষ্ট পরিকল্পনা ছকবে। তবে নজরদারি ব্যবস্থায় এই শিল্পকেও যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা।
আইডিএসএ-র হিসাবে, গত অর্থবর্ষে এই ব্যবসায় পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয়।বাজার ১৯৮৪ কোটি টাকার। দেশে মোট ব্যবসার ১০%। রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রধান সচিব জানান, নজরদারি ব্যবস্থায় এখানে কারা এই ব্যবসা করছে, তাদের তালিকা দফতরের সাইটে থাকবে। এ জন্য আর্জিজানালে, তা দফতর খতিয়ে দেখে সায় দিলে তবেই নাম তালিকাভুক্ত হবে।