রফতানিকারী ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলির সমস্যার কথা তুলে ধরে সুদ কমানোর প্রস্তাব ডিজিএফটি-এর। —ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি ভারতের রফতানি কমার পরিসংখ্যান বেরোতেই ফের জোরালো হয়েছে সুদ কমানোর দাবি। এ বার সেই সওয়াল এল খোদ ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা ডিজিএফটি-র পক্ষ থেকে। যা কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের আওতাভুক্ত সংস্থা। তাদের কাজ মূলত দেশের বাণিজ্য নীতি উন্নয়ন এবং রূপায়ণ। মূলত রফতানিকারী ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলির সমস্যার কথা তুলে ধরে বুধবার সুদ কমানোর প্রয়োজন ব্যাখ্যা করেছে তারা।
গত মাসে দেশের রফতানি বাণিজ্য কমেছে ৪.৮৫%। বুধবার ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড সন্তোষ কুমার সারেঙ্গির দাবি, চড়া সুদই এর কারণ। তা না কমলে বাণিজ্য মার খেতেই থাকবে। তাই বাণিজ্য মন্ত্রক মূলত ছোট-মাঝারি রফতানিকারীদের সাহায্য করার জন্য অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে কাজ করছে, জানান তিনি। সারেঙ্গির বার্তা, মূলত ছোট ও মাঝারি রফতানি সংস্থাগুলিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে। চড়া সুদের কারণে ধার নিতে পারছে না তেমন ভাবে। অথচ পুঁজির অভাবে ধাক্কা খাচ্ছে ব্যবসা। যার প্রভাব পড়ছে সার্বিক রফতানি শিল্পে। অন্য দিকে আমদানি বাড়ছে। ফলে চওড়া হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি।
ভারতে সুদ (রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট, যে সুদে তারা ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেয়) এখন ৬.৫%। সারেঙ্গির দাবি, এশিয়ার অন্য দেশগুলির ক্ষেত্রে তা ২.৫-৩.৫ শতাংশের মধ্যে। ফলে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে সমস্ত ছোট-মাঝারি সংস্থার জন্যেই রফতানির জন্য সুদে ভর্তুকি পাওয়ার সরকারি প্রকল্প কতটা জরুরি, সেটা তাঁরা অর্থ মন্ত্রককে বোঝানোর চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি। ওই প্রকল্পের সুবিধা নিতে আগে রফতানির সীমা ছিল ১০ কোটি টাকা। পরে তা কমে হয় ৫০ লক্ষ টাকা।