রাজ্য জিএসটি দফতর ওই সূত্রের তথ্য বলছে, এই সময়ে পরোক্ষ কর আদায় হয়েছে ১২,৩০০ কোটি টাকা। প্রতীকী ছবি
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম চার মাসেই (এপ্রিল-জুলাই) রাজ্যে জিএসটি আদায় প্রায় ৩০% বেড়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজ্য জিএসটি দফতর ওই সূত্রের তথ্য বলছে, এই সময়ে পরোক্ষ কর আদায় হয়েছে ১২,৩০০ কোটি টাকা। গত বছর এই ক’মাসে তা ছিল ৯৪০০ কোটি। তবে রাজ্যের বাণিজ্য কর কমিশনার খালেদ আনওয়ারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের যে ৭ লক্ষ করদাতা জিএসটি দেন, তাঁদের এক বড় অংশ কর ফাঁকি দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট দফতরের ধারণা, ওই সংখ্যাটি প্রায় ৩ লক্ষ।
সম্প্রতি কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত জিএসটি নিয়ে আলোচনা সভায় খালেদ বলেন, রাজ্যে নথিভুক্ত করদাতার মধ্যে ৯০% করই মেটান মাত্র ৫২০০ করদাতা। জিএসটি চালুর পাঁচ বছর কাটলেও, বহু ক্ষেত্রে এখনও ওই আইন নিয়ে ব্যবসায়ীদের পুরো ধারণা নেই। তাঁর কথায়, “অনেক ক্ষেত্রে আইন না-জানা থাকায় কর মেটাতে অন্যের উপরে নির্ভরশীল হয়ে সমস্যায় পড়েন ব্যবসায়ীরা।’’ তাঁর পরামর্শ, পণ্য কেনা বা বিক্রির সময় বিক্রেতা বা ক্রেতা ঠিকমতো জিএসটি ব্যবস্থায় নথিবদ্ধ কি না-সহ আরও কিছু বিষয় জেনে নেওয়া জরুরি।
খালেদের সুরে সেন্ট্রাল জিএসটি-র যুগ্ম কমিশনার সার্থক সাক্সেনা বলেন, জিএসটি ব্যবস্থার সাফল্য অনেকাংশেই ঠিকমতো তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের উপরে নির্ভরশীল। এর বহু সুবিধা ব্যবসায়ীদের একাংশের অজানা। যেমন, ই-ইনভয়েসিংয়ে আগে মেটানো কর দ্রুত ফেরত-সহ নানা সুবিধা মেলে। ভুল হলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা বাতিল করা যায়। অনেক দেশে এই ব্যবস্থার হাত ধরে জিএসটিতে কর মেটানোর খরচ কমেছে। অথচ ভারতে বহু ব্যবসায়ীর এ নিয়ে ধারণা নেই।
ই-ইনভয়েসিংয়ে ভুল তথ্য বাতিল করা গেলেও তা সংশোধনের ব্যবস্থা নেই, দাবি কনফেডারেশনের সভাপতি সুশীল পোদ্দারের। ওই সুযোগ চালুর আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, আইন আসার পরে জিএসটিতে হাজারেরও বেশি সংশোধন হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা তো দূর অস্ত্, অনেক জিএসটি অফিসারেরও নতুন আইন নিয়ে সম্যক ধারণা নেই। বলা হয়েছিল, জিএসটি সরল হবে। বাস্তবে বিশেষত ছোট ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতা উল্টো।