আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। ফাইল চিত্র।
ছ’বছর আগে টেলিভিশনে বিবৃতি দিয়ে পুরনো ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে নোটবন্দির বিরুদ্ধে মামলার সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম দাবি করলেন, কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের উদ্যোগে ব্যাঙ্কনোট বাতিলের প্রস্তাব করতে পারে না। এমন পদক্ষেপ হতে পারে একমাত্র রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সুপারিশের ভিত্তিতে।
এ দিন চিদম্বরম জনৈক আবেদনকারীর হয়ে বিচারপতি এস এ নাজ়িরের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে সওয়াল করেন। তাঁর যুক্তি, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক আইনের ২৬(২) ধারায় কেন্দ্রকে কয়েকটি সিরিজ়ের নোট বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও নোট পুরোপুরি বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্র নিজে থেকে নোটবন্দির প্রস্তাব শুরু করতে পারে না। তা হতে পারে শুধু শীর্ষ ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় পর্ষদের সুপারিশে।... এটি অত্যন্ত আপত্তিকর সিদ্ধান্ত। ত্রুটিপূর্ণ ওই সিদ্ধান্ত খারিজ করা উচিত।’’ চিদম্বরমের আরও দাবি, নোটবন্দির পর কী ঘটতে পারে তার হিসাব না কষেই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এক রাতে ২৩০০ নোট বাতিল হয়ে যায়। অথচ সরকারের মাসে মাত্র ৩০০ কোটি নোট ছাপানোর ক্ষমতা ছিল।
সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের টুইট, তথ্য জানার অধিকার আইনে করা এক প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের এপ্রিলে নতুন ৫০০ টাকার নোট ছাপা শুরু হয়েছিল। সেই নোটে উর্জিত পটেলের সই রয়েছে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, পটেল ২০১৬ সালে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হয়েছিলেন।