—প্রতীকী চিত্র।
নতুন অর্থবর্ষের (২০২৪-২৫) প্রথম ঋণনীতিতে সুদের হার অপরিবর্তিত (৬.৫%) রেখেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এই নিয়ে টানা সাত বার। আবাসন-সহ বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রের বক্তব্য, ঋণনীতিতে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটেনি। সুদ না বাড়ায় ঋণের কিস্তিও বাড়বে না। ফলে ব্যবসায় বিরূপ প্রভাবের সম্ভাবনা নেই। তবে আবাসন সংস্থাগুলির সংগঠন ক্রেডাই এবং নারেডকোর আর্জি, পরবর্তী বৈঠকে সুদ কমানোর কথা ভাবুক শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তা কমলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিও গৃহঋণে সুদেক হার কমাবে। তাতে কমবে মাসিক কিস্তি। সে ক্ষেত্রে আবাসনের চাহিদা বাড়বে এবং ব্যবসা আরও উজ্জীবিত হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, আগামী ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। আর ঋণনীতি বৈঠক ৫-৭ জুন। অর্থাৎ, বৈঠক শুরুর আগেই দেশের পরবর্তী পাঁচ বছরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঠিক হয়ে গিয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই আবাসন ক্ষেত্রের এই আবেদন। তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের জন্য। এপ্রিল-জুনের জন্য নয়। তখন বরং চরম তাপপ্রবাহের আশঙ্কা। ফলে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে উদ্বেগ থাকবেই। ফলে মূল্যবৃদ্ধি কমানোকে পাখির চোখ করা শীর্ষ ব্যাঙ্ক জুনেই শিল্পের আর্জি শুনবে কি না, সে ব্যাপারে
অনেকেই সন্দিহান।
অতিমারির ফলে যে সমস্ত ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছিল তার মধ্যে আবাসন ছিল প্রথম সারিতে। গত দু’বছরে তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ক্রেডাইয়ের প্রেসিডেন্ট বোমান ইরানির বক্তব্য, ‘‘মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্দেশ্যে শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে। তবে এই হার শিল্পমহলের সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত। আমাদের আশা, অদূর ভবিষ্যতে সুদ কমবে। তাতে যে শুধু আবাসনের লাভ এমন নয়, অন্যান্য শিল্প ক্ষেত্রও উৎসাহিত হবে।’’ নারেডকোর জাতীয় প্রেসিডেন্ট জি হরি বাবুর কথায়, ‘‘সুদ অপরিবর্তিত রাখার অর্থ অর্থনীতির উপাদানগুলির উপরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের আস্থা রয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সুদের হার এখন চার বছরের সর্বোচ্চ। আগামী বৈঠকে আমাদের আবেদনের দিকে নজর রাখার জন্য শীর্ষ ব্যাঙ্ককে অনুরোধ জানাচ্ছি।’’