—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের ক্ষুদ্র চা চাষিরা দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁদের জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করার আর্জি জানাচ্ছিলেন। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে কিসান ক্রেডিট কার্ড-সহ তেমনই কয়েকটি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠন সিস্টা-র আর্জি, তাঁরা যাতে উৎপাদিত কাঁচা চা পাতার ন্যায্য মূল্য পান, সে দিকেও জোর দেওয়া দরকার। তাদের বক্তব্য, এ জন্য জরুরি দেশে তৈরি সব চা-ই নিলামের মাধ্যমে (পাইকারি) বিক্রির ব্যবস্থা করা। দ্রুত সেই পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র। এখন দেশের গড়ে ৩৫% চা নিলামে যায়।
কাঁচা পাতার অর্ধেকের বেশি উৎপাদন করে ক্ষুদ্র চা চাষিরা। তার বেশির ভাগটা বটলিফ কারখানায় বিক্রি করেন তাঁরা। বাকিটা দেন বড় বাগানগুলিকে। পাইকারি ব্যবসার চায়ের দামের ভিত্তিতে কী ভাবে সেই পাতার দাম স্থির হবে, তার একটি সূত্র রয়েছে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় দাম ঠিক মতো ধার্য হয় না বলে অভিযোগ সিস্টার। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বিজয়গোপাল চক্রবর্তীর দাবি, নিলামে বিক্রি হলে এই সমস্যা অনেকটাই মিটবে। ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা আসবে। সাত বছর ধরে কাঁচা পাতার দাম প্রায় স্থির। গত মরসুমে ছিল কেজিতে ১৫ টাকা। অথচ উৎপাদনে খরচ হচ্ছে প্রায় ১৯ টাকা।