প্রতীকী ছবি।
আসন্ন বাজেটে কেন্দ্রের কাছে নিউজ়প্রিন্টে ৫% আমদানি শুল্ক তোলার আর্জি জানাল সংবাদপত্র শিল্প। এই শিল্পে সব থেকে বেশি যে সব খাতে খরচ হয়, নিউজ়প্রিন্ট তার অন্যতম। দেশে উন্নত মানের নিউজ়প্রিন্টের অভাব থাকায় সিংহভাগই আমদানি করতে হয় বলে দাবি শিল্প মহলের। তার উপরে করোনার ফলে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো আর্থিক সমস্যায় পড়েছে সংবাদপত্রও। এই সব সমস্যা মেটাতে মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে নিউজ়প্রিন্টের আমদানি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি সংবাদপত্র শিল্পের জন্য ত্রাণ প্রকল্প চালুর আর্জি জানিয়েছে ইন্ডিয়ান নিউজ়পেপার সোসাইটি।
আজ সংগঠনের সভাপতি এল আদিমূলম জানান, গত তিন মাসেই নিউজ়প্রিন্টের দাম প্রায় ২০% বেড়েছে।
তা আরও বাড়তে পারে। এই অবস্থায় বাজেটে নিউজ়প্রিন্টের উপর আমদানি শুল্ক ছাড়ের আর্জি জানিয়ে সীতারামনের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘সংবাদপত্র শিল্পের জন্য ত্রাণ প্রকল্প চালুর কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও কারণে এই মুহূর্তে তাতে অসুবিধা থাকলে, অন্তত ডিরেক্টরেট অব অ্যাডভার্টাইজ়িং অ্যান্ড ভিজুয়াল পাবলিসিটির (ডিএভিপি) সরকারি বিজ্ঞাপনের মাসুল ৫০% বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছি।’’
আদিমূলমের দাবি, ভারতে তৈরি নিউজ়প্রিন্টের পুরোটাই দেশের সংবাদপত্র শিল্প ব্যবহার করে। তার পরেও যা ঘাটতি থাকে, সেটাই আমদানি করতে হয়। তা ছাড়া প্রধান ভারতীয় নিউজ়প্রিন্ট উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই টন প্রতি ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকা দাম বাড়িয়েছে। ওই সব উৎপাদনকারীদের যদিও দাবি, দেশীয় সংবাদপত্র শিল্পের পুরো চাহিদা মেটানোর ক্ষমতা তাদের রয়েছে।