বাজারের তীব্র মাসুল যুদ্ধে আয় কমায় অধিকাংশ টেলিকম সংস্থা তার ন্যূনতম হার বেঁধে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের কাছে। আয় বৃদ্ধির পথ খুঁজতে কার্যত একই সওয়াল করল চা শিল্পের সংগঠন ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন (আইটিএ)। তাদের দাবি, চা তৈরির খরচ বাড়লেও নিলামে বেশির ভাগের গড় দাম তুলনায় কম। তাই নিলামে চায়ের ন্যূনতম দর নির্ধারণ করে দেওয়া হোক। ব্যবসার অবস্থা খতিয়ে দেখতে নিযুক্ত দুই উপদেষ্টা, আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং এবং খৈতান অ্যান্ড কোম্পানিও সেই মর্মে পরামর্শ দিয়েছে। এ দিকে বুধবার আইটিএ-র বার্ষিক সভায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার বার্তা, পর্যটনের প্রসারে ৪০টি চা বাগানে রিসর্ট তৈরির জন্য বিশেষ আর্থিক সুবিধা দিচ্ছেন তাঁরা। সেই সুযোগ নিতে পারে শিল্প।
সভার আগে আইটিএ-র চেয়ারম্যান বিবেক গোয়েন্কা জানান, অসমের প্রায় ৬০% চায়ের কেজি প্রতি গড় দাম ২০০ টাকার কম। ডুয়ার্স এবং তরাইতেও ২০ শতাংশের বেশি চায়ের কেজি গড়ে ১৫০ টাকার কমে বিক্রি হয়। বহু ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই ওঠে না। কারণ, গত ১০ বছরে ওই খরচ ৯-১২% বাড়লেও দাম বৃদ্ধির হার প্রায় ৪%। তাই উৎপাদন খরচ এবং গুণগত মানের ভিত্তিতে নিলামে একটি ন্যূনতম দর স্থির হওয়া জরুরি। তারপর চায়ের গুণমান যত বাড়বে, সেই অনুযায়ী দর উঠবে বাজারের নিয়ম মেনে। বিবেকের দাবি, ঠিক দাম পেলে মান বৃদ্ধিতে আরও জোর দিতে পারবে চা শিল্প। কারণ, সে জন্য লগ্নি করতে হবে।
রফতানি ব্যবসা বাড়াতে অর্থোডক্স চায়ে ভর্তুকিও দাবি করেছে আইটিএ। বলেছে, এটি তৈরির খরচ বেশি। অথচ করোনাকালে তার রফতানি ধাক্কা খেয়েছে। তাই উৎপাদন বাড়াতে কেন্দ্র কেজি প্রতি ২০ টাকা করে ভর্তুকি দিক।