প্রতীকী ছবি।
প্রথম দফায় অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে গত জানুয়ারি থেকে কিছুটা ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত মিলেছিল আবাসন শিল্পে। তবে মূলত আবাসন বা ফ্ল্যাটের চাহিদার হাত ধরেই নতুন ব্যবসার সন্ধান পেয়েছিল তারা। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, ধাক্কা খেয়েছে অফিসের জন্য জায়গা লিজ় বা ভাড়া নেওয়ার চাহিদা। উপদেষ্টা সংস্থা কুশম্যান অ্যান্ড ওয়েকফিল্ডের হিসেব, কলকাতা-সহ দেশের সাতটি শহরে গত বছরের তুলনায় এ বারের জানুয়ারি-মার্চে অফিস লিজ় নেওয়ার হার কমেছে ৪৮%। কলকাতাতেও চাহিদায় টান। এ জন্য অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউকেই দায়ী করছে তারা। ফের সংক্রমণ বাড়ায় আগামী কয়েকটি ত্রৈমাসিকেও অফিসের জন্য জায়গা নেওয়ার চাহিদায় ঝিমুনি ভাব থাকবে, আশঙ্কা আবাসন শিল্পের সংগঠন ক্রেডাইয়ের।
দিল্লি-এনসিআর, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, পুণে ও হায়দরাবাদে সমীক্ষা চালিয়েছিল কুশম্যান অ্যান্ড ওয়েকফিল্ড। শুধু পুণেতে অফিস লিজ় নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। কলকাতায় আগের বছরের জানুয়ারি-মার্চে বিভিন্ন সংস্থা ৪.৭৭ লক্ষ বর্গ ফুট জায়গা লিজ় নিয়েছিল অফিসের জন্য। এ বার তা ১.৭৮ লক্ষ বর্গ ফুট। সংস্থাটির এমডি (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারত) অংশুল জৈনের মতে, গত অর্থবর্ষের অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে আবাসন ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যবহারের ব্যবসা বেড়েছিল। প্রতিষেধক প্রয়োগ শুরুর পরে বাজারে আস্থা আরও বাড়ে। কিন্তু সংক্রমণ বৃদ্ধি পুরোটাতে জল ঢেলেছে। তাঁর দাবি, ‘‘সকলকে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু না-হলে, জায়গা লিজ় নেওয়া নিয়ে সতর্ক থাকবে সংস্থাগুলি। যদি ভাড়া নিয়েও অফিস খোলা না যায়! এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধের গোড়া পর্যন্ত ঝিমুনি থাকবে।’’
একই আশঙ্কা ক্রেডাইয়ের প্রেসিডেন্ট হর্ষবর্ধন পাতোদিয়ার। তবে তাঁর দাবি, এটা গোটা বিশ্বেরই প্রবণতা। তিনি জানান, অফিস লিজ় নেওয়ার ক্ষেত্রে সব থেকে আগে থাকে প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। কিন্তু তাদেরও বাড়ি থেকে কাজ বাড়ছে এখন। লগ্নি নিয়েও দ্বিধায় অনেকে।