—প্রতীকী চিত্র।
দূষণ ও তেল আমদানি খরচ কমাতে পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশানোয় জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার জন্য ২০২৩-২৪ মরসুমে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) ইথানলে চিনি ব্যবহারের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেয় সরকার। আবহাওয়ার উন্নতির ফলে চিনির উৎপাদন বাড়তে পারে, এই পূর্বাভাসের ভিত্তিতে ইথানলে ব্যবহারের জন্য ওই পণ্যের বরাদ্দ বাড়াতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএমএ)।
মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে বৃষ্টির ঘাটতির জন্য ১৭ লক্ষ টনের বেশি চিনি ইথানল উৎপাদনে ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। আইএসএমএ বলেছে, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আগের বারের তুলনায় উৎপাদন প্রায় ৫.৩% কম হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের সরকারি দফতরই এই মরসুমে চিনির উৎপাদন ৫%-১০% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছে। আইএসএমএ-রও মত, যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে উৎপাদন বেশি হবে। তাই আরও ১০-১২ লক্ষ টন চিনি ইথানল তৈরিতে ব্যবহারের আর্জি জানিয়েছে তারা। তার পরেও আগামী মরসুমের কয়েক মাসের চিনির চাহিদা এ বারে উৎপাদন থেকে মেটানো যাবে বলে দাবি সংগঠনটির।
পাশাপাশি ভুট্টা থেকে ইথানল তৈরির জন্য আর্থিক সুবিধা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কিন্তু আখ থেকে তৈরি চিনি দিয়ে তৈরি ইথানল বেশি উন্নত। তাই সে ক্ষেত্রে বেশি সাহায্যের পক্ষে সওয়াল করেছে আইএসএমএ।