ছবি সংগৃহীত।
ভুয়ো ফোনকলের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন বহু মানুষ। কিন্তু অভিযোগ, আয় কমার আশঙ্কায় এই ধরনের ফোন নম্বরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে না টেলিকম সংস্থাগুলি। টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই বিষয়টিতে কেন হস্তক্ষেপ করছে না, মঙ্গলবার সেই প্রশ্ন তুলল দিল্লি হাইকোর্ট। এই সমস্যার সমাধানে কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা জানিয়ে ছ’সপ্তাহের মধ্যে ট্রাইকে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পেটিএমের মূল সংস্থা ওয়ান-৯৭ এক মামলায় অভিযোগ করেছে, ভুয়ো ফোনকল, ইমেল, মেসেজের মাধ্যমে তাদের বহু গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রত্যেক মাসে গ্রাহকদের ১-২ কোটি টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে। অথচ টেলিকম অপারেটরেরা ওই ফোন নম্বরগুলি ব্লক করছে না। অনথিভুক্ত অপারেটরদের মাধ্যমেই এমনটা ঘটছে বলে অভিযোগ পেটিএমের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভের। তাঁর বক্তব্য, টেলিকম সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ট্রাই হস্তক্ষেপ না-করার ফলেই বিষয়টি নিয়ে ঢিলেঢালা আচরণ করছে সংস্থাগুলি। এর প্রেক্ষিতেই ট্রাইয়ের উদ্দেশে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন পটেল এবং বিচারপতি প্রতীক জালানের বেঞ্চের বক্তব্য, ‘‘অন্তত পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করুন। এত মিত্রতা দেখাবেন না। দেখান যে আপনারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী।’’ টেলিকম সংস্থাগুলির অবশ্য বক্তব্য, তারা এই সংক্রান্ত আইন মেনে পদক্ষেপ করে। আগামী ২৮ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।
এ দিনের শুনানিতে এয়ারটেলের আইনজীবী কপিল সিব্বল অভিযোগ করেছিলেন, পেটিএম নিজেরাই দেরি করে নিজেদের নথিভুক্ত করিয়ে তার পরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। পেটিএম অবশ্য সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
অন্য দিকে, বেশি মাসুলের বিনিময়ে দ্রুততর ইন্টারনেট পরিষেবা-সহ একগুচ্ছ বিশেষ পরিষেবার যে প্যাকেজ ভোডাফোন-আইডিয়া এবং এয়ারটেল এনেছে, তা আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাই। তার বিরুদ্ধে টিডিস্যাটের দ্বারস্থ হয়েছিল ভোডাফোন-আইডিয়া। এ দিন অবশ্য ট্রাইয়ের নির্দেশই বহাল রেখেছে টিডিস্যাট। ১৬ জুলাই আবেদনের পরবর্তী শুনানি।