ফাইল চিত্র।
জুলাইয়ের বাজেটে নেওয়া বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর বাড়ানোর মতো সিদ্ধান্ত পরে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এ বারও সে রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে বাজেট ঘোষণার দু’সপ্তাহ পরে ইঙ্গিত দিলেন তিনি। শুক্রবার নির্মলা বলেন, অর্থনীতির প্রয়োজনে বাজেটে বদল করতে হলে, তা করা হবে। সঙ্গে তাঁর আশ্বাস, অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে দরকারে বাজেটের বাইরে গিয়েও ব্যবস্থা নেবে সরকার।
আজ এক বৈঠকে নির্মলা বলেন, বাজেটের পরে টাকার দামে অস্থিরতা কমেছে, শেয়ার বাজারে ঊর্ধ্বগতি বজায় আছে, বন্ডের বাজার স্থিতিশীল বলে তাঁকে অনেকে জানিয়েছেন। তবে বৈঠকে উপদেষ্টা সংস্থা ইওয়াই ইন্ডিয়ার কর্ণধার রাজীব মেমানি বলেন, বাজেটে ডিভিডেন্ড বণ্টন করের দায় প্রাপকের হাতে দেওয়ার যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে ভুগবেন রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্টের লগ্নিকারীরা। প্রশ্ন ওঠে সভ্রেন ওয়েলথ্ ফান্ডে করছাড়ের সুবিধা পেনশন ফান্ড পাবে কি না, তা নিয়েও। মন্ত্রীর আশ্বাস, সব কিছু খতিয়ে দেখা হবে।
বৈঠকে উঠেছিল প্রধানমন্ত্রীর বলা কর ফাঁকির প্রসঙ্গ। উপস্থিত সকলকে নির্মলা বলেন, কেউ বলছে না যে আপনারা কর ফাঁকি দিচ্ছেন। কিন্তু কেন্দ্র চায় কর দেওয়া ও নেওয়ার মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে। কাউকে আঘাত করা লক্ষ্য নয়। প্যান কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া সরল করার বিষয়টিও মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টাকে দেখতে বলেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ প্রকল্প নিয়ে দ্রুত বিভ্রান্তি দূর করা হবে।