Loan

বকেয়া মেটাতে ঋণই ভরসা বণ্টন সংস্থার

আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় চাহিদা কমার জেরে লকডাউনে সারা দেশেই বিদ্যুৎ বিক্রি ধাক্কা খেয়েছে বণ্টন সংস্থাগুলির। কমেছে বিল আদায়ও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২০ ০৫:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি

লকডাউনে এপ্রিল থেকেই কম বিদ্যুৎ বিল আদায় হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার। এই পরিস্থিতিতে তাদের নগদের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রের থেকে ১০২২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে রাজ্য। ২০ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্রকল্পে বণ্টন সংস্থাগুলির জন্য ৯০,০০০ কোটির বিশেষ ঋণের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এরই আওতায় ১০ বছর মেয়াদের ঋণ নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় চাহিদা কমার জেরে লকডাউনে সারা দেশেই বিদ্যুৎ বিক্রি ধাক্কা খেয়েছে বণ্টন সংস্থাগুলির। কমেছে বিল আদায়ও। রাজ্য বণ্টন সংস্থার ক্ষেত্রে এপ্রিল, মে মাসে সেই অঙ্ক ২১০০-২৩০০ কোটি টাকা। জুন-জুলাইয়েও যে তাদের আদায় খুব বেড়েছে, তা নয়। সঙ্গে সামলাতে হয়েছে আমপানের ক্ষতি। নতুন বেতন কমিটিও কার্যকর হয়েছে বিদ্যুৎ কর্মীদের জন্য। সব মিলিয়ে আর্থিক সঙ্কট বেড়েছে বণ্টন সংস্থাটির। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম ছাড়াও এনটিপিসি, এনএইচপিসি-র মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনে বণ্টন সংস্থা। মূলত তাদের পাওনা মেটাতেই ওই টাকা ব্যবহার হবে।

ধার কেন

Advertisement

• লকডাউনের মধ্যে বিল আদায় কমেছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার।

• চাহিদা কমায় ধাক্কা লেগেছে বিদ্যুৎ বিক্রিতে।

• অথচ সামলাতে হচ্ছে আমপানের ক্ষতি।

• নতুন বেতন কাঠামোও কার্যকর হয়েছে কর্মীদের।

• ফলে আয় কমলেও বেড়েছে খরচ।

• অবস্থা সামলাতে ১০ বছরের মেয়াদে কেন্দ্রের থেকে ১০২২ কোটি টাকা ধার নিয়েছে বণ্টন সংস্থা।

• তা দিয়ে মেটানো হবে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম, এনটিপিসি, এনএইচপিসি-র বকেয়া।

উল্লেখ্য, সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, জুনে বণ্টন সংস্থাগুলির কাছে বিদ্যুৎ উৎপাদক সংস্থাগুলির বকেয়া পাওনা গত বছরের চেয়ে ৪৭% বেড়ে হয়েছে ১.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা। মে মাসে ওই অঙ্ক ছিল ১,২৬,৯৬৩ কোটি। আর গত বছর জুনে ৯০,৬৫৫ কোটি টাকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement