—প্রতীকী চিত্র।
কেব্ল টিভি এবং ডিটিএইচ পরিষেবার মাসুল-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গত কয়েক বছর দফায় দফায় বিতর্ক চলেছে। অবশেষে দীর্ঘ আইনি জট কাটিয়ে মাস ছয়েক আগে সর্বশেষ মাসুল নীতি চালু হয়। নতুন ব্যবস্থায় গ্রাহক কিংবা সম্প্রচারকারীর আরও কিছু সমস্যা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এ বার আলোচনার দরজা খুলল সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক ট্রাই। চালু মাসুল, সংযোগ ব্যবস্থা ও তার ফি, পরিষেবার মানোন্নয়ন-সহ ৩২টি বিষয়ে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল পক্ষকে মতামত জানাতে বলেছে তারা। সেই মতামতের বিরুদ্ধে কারও কিছু বলার থাকলে তা জানাতে হবে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
অ্যানালগ থেকে ডিজিটালে বিবর্তনের পরেও বিভিন্ন সংস্কারের রাস্তা ধরে এগিয়েছে কেব্ল পরিষেবা ক্ষেত্র। গ্রাহক স্বার্থের যুক্তিতে অতিমারির আগে নতুন মাসুল নীতি চালু করে ট্রাই। অপছন্দের চ্যানেল বাদ দিয়ে গ্রাহকদের খরচ কমানোই ছিল লক্ষ্য। এই নিয়ে মাল্টি-সার্ভিস-অপারেটর (এমএসও) এবং স্থানীয় কেব্ল অপারেটরদের (এলসিও) আপত্তি থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়। যদিও বোকের নামে কিছু অপছন্দের চ্যানেল নিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের একাংশের। এর পর আরও কয়েক দফা নিয়ম সংশোধনের পরে সর্বশেষ মাসুল নীতিটি আনা হয়। ট্রাইয়ের দাবি ছিল, এতে গ্রাহকদের খরচ বাড়বে না। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
মঙ্গলবার নির্দেশিকা জারি করে ফের গোটা ব্যবস্থাটি পর্যালোচনার রাস্তা খুলল ট্রাই। মতামত দেওয়া যাবে সম্প্রচারের গুণমান, সংযোগের ফি ইত্যাদি নিয়েও।