Atal Pension Yojana Scheme

অটল পেনশন নিয়ে তরজা

ব্যাঙ্কের শাখা থেকে অটল পেনশন যোজনা বিক্রি হয়। জমা তহবিলের ভিত্তিতে ৬০ বছর বয়সের পরে মাসে মাসে পেনশন পান গ্রাহক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪ ০৫:৫৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের অবসর জীবন সুরক্ষিত করার জন্য অটল পেনশন যোজনা (এপিওয়াই) চালু করেছে মোদী সরকার। কিন্তু সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ (আইসিএসএসআর) এক সমীক্ষায় দাবি করেছে, গ্রাহকদের এক-তৃতীয়াংশ ওই প্রকল্প থেকে বার হয়ে আসছেন। তাঁরা অভিযোগ করছেন, স্পষ্ট অনুমতি ছাড়াই তাঁদের প্রকল্পের অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে আজ মোদী সরকারের উদ্দেশে তোপ দাগল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, প্রকল্পটির কাঠামো একেবারেই সুপরিকল্পিত ভাবে তৈরি করা হয়নি। বরং তাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হচ্ছে। মোদী সরকার কী ভাবে নীতি তৈরি করে তার আদর্শ উদাহরণ এপিওয়াই। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অবশ্য কংগ্রেসের উদ্দেশে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন। তাঁর দাবি, গ্রাহক যাতে ন্যূনতম ৮% রিটার্ন পান তা নিশ্চিত করা হয়েছে এই প্রকল্পে। এর জন্য পেনশন নিয়ন্ত্রক পিএফআরডিএ-কে ভর্তুকি দেয় কেন্দ্র।

Advertisement

ব্যাঙ্কের শাখা থেকে অটল পেনশন যোজনা বিক্রি হয়। জমা তহবিলের ভিত্তিতে ৬০ বছর বয়সের পরে মাসে মাসে পেনশন পান গ্রাহক। তা হতে পারে ১০০০, ২০০০, ৩০০০, ৪০০০ কিংবা ৫০০০ টাকা।

আজ এক্স-এ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ লিখেছেন, গত ২৪ মার্চ বেঙ্গালুরুতে এক কর্মসূচিতে অর্থমন্ত্রী এপিওয়াইয়ের সুবিধা সম্পর্কে অনেক কিছু বলেছেন। তার এক দিন পরেই জানা গেল, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ গ্রাহক ওই প্রকল্প ছেড়ে দিয়েছেন। অফিসারেরা ‘কোটা’ পূরণের জন্য বিনা অনুমতিতে তাঁদের নাম প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করে দিয়েছিলেন। প্রতারণার মাধ্যমে এবং জোর করে সাধারণ মানুষকে গছানো হয়েছে প্রকল্প। তা ছাড়া গ্রাহকদের মধ্যে প্রায় ৮৩% ন্যূনতম পেনশনের (১০০০ টাকা) যোগ্যতামানে রয়েছেন। এই প্রসঙ্গে অনেকের বক্তব্য, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ভুল বুঝিয়ে গ্রাহকদের প্রকল্প বিক্রির অভিযোগ ইদানীং বেড়েছে। অটল পেনশন যোজনার ক্ষেত্রেও কি সেই পথই নিচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি?

Advertisement

নির্মলার অবশ্য দাবি, গ্রাহকদের স্বার্থে এই প্রকল্প যথেষ্ট হিসাব কষেই তৈরি। বয়স ৬০ বছর হয়ে গেলে ব্যাঙ্কে সুদের হার যা-ই হোক না কেন, গ্রাহক নির্দিষ্ট অঙ্কের পেনশন পাবেন। তিনি বলেন, ‘‘জয়রাম রমেশ প্রতারণা এবং চাপ সৃষ্টির কথা বলছেন। আসলে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য কংগ্রেসই বরাবর প্রতারণার রাস্তা নিয়ে চলেছে। রাজবংশের ঘনিষ্ঠদের ঋণ দিতে অস্বীকারের জন্য স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান আর কে তলোয়ারকে ইস্তফা দিতে হয়েছিল। সেই সময়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল তাঁর উপরে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement