প্রতীকী ছবি।
সকলকে অন্ধকারে রেখে হার্লে ডেভিডসনের আচমকা ভারত থেকে ব্যবসা গোটানোর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তাদের ডিলাররা। যারা অনেক টাকা খরচ করে ডিলারশিপ নিয়েছে শুধু হার্লের বাইক বেচতেই। ডিলারদের সংগঠন ফাডার অভিযোগ, এতে বহু মানুষের ক্ষতি হবে। ৩৫টি ডিলারশিপ বন্ধ হওয়ায় কাজ হারাবেন প্রায় ২০০০ জন।
ফাডার দাবি, মার্কিন বহুজাতিকের সঙ্গে জোট বেঁধে তাদের দামি বাইক বিক্রির ডিলারশিপ নিতে প্রত্যেকের ৩-৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে লগ্নির পরিমাণ ১১০-১৩০ কোটি। যা পুরোপুরি জলে গেল এ ভাবে কাউকে কিছু না বলে-কয়ে সংস্থার ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্তে। নষ্ট হল দেশের মূলধন। হয়রান হলেন ব্যবসায়ীরা। ফাডার প্রেসিডেন্ট ভিঙ্কেশ গুলাটির তোপ, ডিলাররা কষ্ট করে রোজগার করা টাকা লগ্নি করেছিলেন। অথচ ব্যবসায় তালা ঝোলানো নিয়ে কিচ্ছু না-বলে এবং ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ছাড়াই কেন তাঁদের হাত ছেড়ে দেওয়া হল? পরিষেবা ও বাইকের যন্ত্রাংশ পাওয়ার ক্ষেত্রে ক্রেতারাও সমস্যায় পড়বেন বলে মনে করছেন তিনি।
গুলাটির দাবি, ভারতে যদি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি প্রোটেকশন আইন থাকত, তা হলে এই ধরনের ব্র্যান্ডগুলি তাদের সহযোগী ও ক্রেতাদের সঙ্কটে ফেলে এ ভাবে হঠাৎ ব্যবসা বন্ধ করে চলে যেতে পারত না। হয়রান হতে হত না এত মানুষকে। তিনি বলেন, গত তিন বছরে ভারতে ব্যবসা বন্ধ করেছে আরও তিনটি গাড়ির ব্র্যান্ড, জেনারেল মোটরস, ম্যান ট্রাকস ও ইউএম লোহিয়া। প্রতিটির ক্ষেত্রেই দেশের অনেকখানি মুলধন নষ্ট হয়েছে।
হার্লে অবশ্য দাবি করেছিল, তারা ব্যবসা বন্ধ করলেও, সহযোগীদের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় ক্রেতারা ডিলারদের পরিষেবা পাবেন। ভবিষ্যতেও ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবে সংস্থা এবং প্রয়োজনে সহায়তা দেবে। তবে কাজ হারাবেন প্রায় ৭০ জন কর্মী।
এ দিকে সূত্রের খবর, বাইক তৈরি বন্ধ করলেও, ভারতে বিক্রি চালাতে আগ্রহী হার্লে ডেভিডসন। এ জন্য হিরোমোটো কর্পের সঙ্গে কথা চলছে। সূত্রটির দাবি, ডিস্ট্রিবিউশন সংক্রান্ত ওই চুক্তি হলে হিরো হার্লের বাইক আমদানি করে বিক্রি করতে পারবে।