তিন-চার বছরে দেশে আরও ডেটা সেন্টার গড়তে ঢালা হবে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা। ফাইল চিত্র।
পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম ডেটা সেন্টার এ রাজ্যেই গড়ছে এয়ারটেল-নেক্সট্রা। ভারতী এয়ারটেলের শাখা সংস্থাটির দাবি, লগ্নি হচ্ছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। মঙ্গলবার রাজারহাট-নিউটাউনে ‘বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি’-র অন্যতম এই প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে নেক্সট্রার কর্তারা জানান, ২০ মাসের মধ্যে ছ’তলার প্রস্তাবিত কেন্দ্র তৈরির লক্ষ্য। তিন-চার বছরে দেশে আরও ডেটা সেন্টার গড়তে ঢালা হবে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ডেটা সেন্টারে জমা থাকে তথ্য। সেখান থেকে নিয়ে তাকে নানা কাজে লাগানো হয়। আর্থিক উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সূত্রেই বাড়ছে বিপুল তথ্য মজুত ভান্ডারের চাহিদা। তথ্য জমা ও সুরক্ষিত রাখতে (শীতাতপ ব্যবস্থায়) বিদ্যুৎ লাগে। তাই তার চাহিদা দিয়ে ডেটা সেন্টারের ক্ষমতা মাপা হয়। প্রয়োজন মতো পরিকাঠামোর একাংশ ভাড়া নিতে পারে যে কোনও সংস্থা।
নেক্সট্রার ইডি তথা সিওও রাজেশ তাপাদিয়া জানান, পশ্চিমবঙ্গে তাঁদের ১-৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি ছোট ডেটা সেন্টার আছে। প্রতিটিতে যন্ত্র রাখার ৩০০-১০০০টি তাক। রাজারহাটের কেন্দ্রটির ক্ষমতা হবে ২৫ মেগাওয়াট। তাক থাকবে ৩০০০টি।
রাজারহাট-নিউটাউনে ২৫০ একর জমিতে তথ্যপ্রযুক্তি, ডেটা সেন্টার ইত্যাদি ক্ষেত্রে লগ্নির জন্য ‘বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি’-র পরিকল্পনা করেছে রাজ্য। এয়ারটেল-নেক্সট্রার পাশাপাশি রিলায়্যান্স জিয়ো-ও সেখানে জায়গা নিয়েছে। এ দিন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, হিডকোর এমডি দেবাশিস সেনের উপস্থিতিতে প্রকল্পের ভূমিপুজো করে এয়ারটেল। বাবুল জানান, রাজ্য সব রকম সহায়তা দেবে। তাপাদিয়া জানান, বছরখানেক আগে রাজ্য শিল্পোন্নয়নের নিগমের থেকে ৩.৯ একর নিয়েছিলেন। তৈরির পরে ডেটা সেন্টারটি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানেও ব্যবসা করবে।