দার্জিলিং চা-বাগান। প্রতীকী চিত্র।
তিন বছর আগে টানা চার মাস পাহাড়ে আন্দোলনের জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল দার্জিলিং চায়ের ব্যবসা। এ বার করোনা-কাণ্ডে লকডাউনের জন্য এখনও পর্যন্ত চা উৎপাদন ১৫ লক্ষ কেজি কমার আশঙ্কায় রয়েছে দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশন (ডিটিএ)। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রক ও টি বোর্ডের কাছে ত্রাণ প্রকল্প-সহ একগুচ্ছ আর্জি জানিয়েছে ডিটিএ।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার মোহন টি বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুণ কুমার রায়কে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, দার্জিলিং চা ব্যবসার ৬৫%-৭০% আসে ফার্স্ট ও সেকেন্ড ফ্লাশ চা থেকে। সেই চায়ের ৯০% রফতানি হয়। এ বার লকডাউনে ফার্স্ট ফ্লাশ চা প্রায় হয়নি। অবস্থা যা, তাতে সেকেন্ড ফ্লাশের উৎপাদনও অন্তত ১০% কমবে। জার্মানি, জাপান, আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো রফতানি বাজারও করোনার জেরে বেহাল। ফলে এ বার রফতানি ব্যবসা প্রায় ৫০% কমবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
ডিটিএ-র দাবি, ২০১৭ সালের বিভ্রাট রফতানি বাজারে এমনিতেই পিছিয়ে দিয়েছে। আবার দেশে অনেক ক্ষেত্রে দার্জিলিং চা বলে নেপাল চা বিক্রি হচ্ছে। দার্জিলিং চায়ে জিআই তকমা সত্ত্বেও। নেপাল চায়ে নজরদারি বাড়ানোর দাবি করেছে তারা।
আরও পড়ুন: এসবিআই-সহ ৬ ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ ৪০০ কোটিরও বেশি, ‘নিখোঁজ’ মালিকদের বিরুদ্ধে
তিন সপ্তাহে মুকেশের হাতে ৬০ হাজার কোটি
২০১৭ সালের ধাক্কা সামলাতে তাঁরা যে ভর্তুকির আর্জি জানিয়েছিলেন, তা কেন্দ্র বাতিল করেনি বলে দাবি মোহনের। এখন সেই ত্রাণের পাশাপাশি কেন্দ্র ও টি বোর্ডের কাছে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকিও চেয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্কিং শিল্পের কাছে ২৫% বাড়তি কার্যকরী মূলধন, ছ’মাসের জন্য ঋণ শোধ স্থগিত-সহ একগুচ্ছ আর্জি জানিয়েছে ডিটিএ।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)