সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরশেন। প্রতীকী চিত্র।
এনটিপিসির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পাঞ্চেৎ এবং তিলাইয়ার বাঁধে মোট ৩১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ছে আর এক রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থা দামোদর ভ্যালি কর্পোরশেন (ডিভিসি)। ডিভিসি কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রকল্প দু’টি মিলিয়ে উৎপাদনের নিরিখে এখনও পর্যন্ত সার্বিক ভাবে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের এটাই বৃহত্তম উদ্যোগ দেশে। লগ্নির সম্ভাবনা কমপক্ষে ২০০০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার ডিভিসি-র চেয়ারম্যান রাম নরেশ সিংহের দাবি, গত অর্থবর্ষে সব ধরনের ব্যবসাতেই ভাল ফল করছে সংস্থা। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলানোর (অডিট) আগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১-২২ সালের চেয়ে গত অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) তাদের মোট আয় ৬.৩% বেড়ে হয়েছে ২৪,৫৫২ কোটি টাকা। মূলধনী খাতে লগ্নিও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেড়ে হয়েছে ২৫৫ কোটি।
সংস্থা সূত্র জানাচ্ছে, তাপ এবং বিকল্প বিদ্যুৎ মিলিয়ে সার্বিক ভাবে ডিভিসি ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা আরও ৯৬৫৪ মেগাওয়াট বাড়াবে। এখন তা ৬৭৭০ মেগাওয়াট। বাড়তি উৎপাদন ক্ষমতা অর্জনের জন্য সব মিলিয়ে সংস্থাটির লগ্নি ছুঁতে পারে প্রায় ৬০,০০০ কোটি টাকা, ইঙ্গিত চেয়ারম্যানের। একই সঙ্গে তিনি জানান, গত মার্চে শেষ হওয়া অর্থবর্ষে ডিভিসি-র মোট ২৮০০ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তাব রয়েছে।
সূত্রের দাবি, বিকল্প বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ২০৩০-এর মধ্যে ৩৪৩৪ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ (মাটিতে ও ভাসমান) এবং পাম্প-স্টোরেজ প্রযুক্তিতে ২৫০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার। তার মধ্যে অন্যতম যৌথ উদ্যোগে পাঞ্চেতে ১১০ ও তিলাইয়ায় ২০০ মেগাওয়াটের ভাসমান প্রকল্প দু’টি। কর্তাদের আশা, আগামী জুনে বরাত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। তার পরে দু’বছরের মধ্যেই শুরু হবে প্রথম পর্যায়ের উৎপাদন।
এ দিকে, বন্ধ হওয়া বোকারো তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় গ্রিন হাইড্রোজ়েন এবং ব্যাটারিতে বিদ্যুৎ সঞ্চয় প্রকল্পটি (ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ) প্রযুক্তিগত ভাবে সম্ভাবনাময় বলে প্রাথমিক ছাড়পত্র পেয়েছে। জুনের মধ্যে সেটির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরির আশা। গ্রিন হাইড্রোজ়েনে ৫০০-৬০০ কোটি এবং ব্যাটারি-স্টোরেজে ১০০০ কোটি টাকা লগ্নির সম্ভাবনা। কর্তাদের আশা, চলতি অর্থবর্ষে সেটির দরপত্র চাওয়ার কাজ শুরু করা যাবে। তবে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আগে ভাঙতে হবে। সময় লাগবে ১৮ মাস।