economy

Bank: অর্থবর্ষ শেষে টানা চার দিন বন্ধ ব্যাঙ্ক, আশঙ্কা গ্রাহক ভোগান্তির

আগামী সোম ও মঙ্গলবার ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ধর্মঘটে শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছে ব্যাঙ্কের অফিসার এবং সাধারণ কর্মীদের পাঁচটি ইউনিয়নও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২২ ০৮:৩৪
Share:

চলতি মাসের শেষে দেশ জুড়ে টানা চার দিন বন্ধ থাকবে সমস্ত ব্যাঙ্ক। ২৬ (মাসের চতুর্থ শনিবার) এবং ২৭ তারিখ সাপ্তাহিক ছুটি। আর ২৮ এবং ২৯ তারিখ ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা দেশব্যাপী ধর্মঘট। টানা চার দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকার ফলে এটিএম পরিষেবাও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা। ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি জানিয়েছে, ধর্মঘটের দু’দিন এটিএমে টাকা ভরার কাজ ব্যাহত হতে পারে। এমনকি এটিএমের নিরাপত্তা রক্ষীদের অনেকে ধর্মঘটে শামিল হওয়ায় খুলবে না অনেকগুলিই। পাশাপাশি কর সাশ্রয়ের জন্য লগ্নি করতে হবে মার্চে চলতি অর্থবর্ষ ফুরোনোর আগেই। সেই কাজটাও দ্রুত সারার পরামর্শ দিচ্ছেন কর বিশেষজ্ঞেরা।

Advertisement

আগামী সোম ও মঙ্গলবার ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ধর্মঘটে শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছে ব্যাঙ্কের অফিসার এবং সাধারণ কর্মীদের পাঁচটি ইউনিয়নও। তাদের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের উদ্যোগ-সহ মোদী সরকারের বিভিন্ন জনস্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানাতেই এই সিদ্ধান্ত। রয়েছে পরিষেবা খরচ কমানো-সহ আরও কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যও।

বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ নীলাঞ্জন দে-র পরামর্শ, ২৫ তারিখের মধ্যে চলতি অর্থবর্ষে কর বাঁচানোর লগ্নিগুলি সেরে ফেলাই ভাল। কর বিশেষজ্ঞ নারায়ণ জৈনও সতর্ক করে বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে করের রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩১ মার্চ। সে ক্ষেত্রে আগেভাগেই তা সম্পূর্ণ করা উচিত।

Advertisement

অর্থবর্ষের শেষে টানা চার দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলে ব্যবসার বড় লোকসান হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। কনফেডারশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনসের সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, “অর্থবর্ষের শেষে জিএসটির বকেয়া, লাইসেন্স নবীকরণ-সহ অনেক খাতে টাকা মেটানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই সময়ে টানা চার দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ মানে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়বেন ব্যবসায়ীরা।’’

ব্যাঙ্ক শিল্পের যে সব ইউনিয়ন ধর্মঘটে যোগ দেবে তারা হল, এআইবিইএ, বেফি, এআইবিওএ, অল ইন্ডিয়া কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় ফেডারেশন এবং অল ইন্ডিয়া গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় অ্যাসোসিয়েশন। বাকি সংগঠনগুলি নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছে বাইরে থেকে। আইবকের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, “আমরা ধর্মঘটে শামিল হচ্ছি না ঠিকই। কিন্তু সমর্থন করছি। যে কারণে ওই দু’দিন ক্যাশ ভল্ট এবং আরও কিছু বিভাগ খোলার জন্য চাবি নেবেন না সংশ্লিষ্ট অফিসারেরা। পিকেটিং ভেঙে দফতরেও ঢুকবেন না। ফলে পরিষেবা চালু রাখার জন্য ওই সব বিভাগে কাজ শুরু করা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।’’ ধর্মঘটের সমর্থনে ২৮-২৯ তারিখ তাঁরা দফতরের গেটে বিক্ষোভ দেখাবেন, জানান অল ইন্ডিয়া রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় অ্যাসোসিয়েশনে সাধারণ সম্পাদক সমীর ঘোষ।

এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগরের মতে, ধর্মঘটে ব্যাঙ্ক পরিষেবা ব্যাহত হবে ঠিকই। কিন্তু সরকার যে ভাবে ব্যাঙ্কগুলি বিক্রি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোও জরুরি। তিনি বলেন, “আপাতত দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বিক্রি করার কথা বলেছে তারা। পরে সেই তালিকা যে লম্বা হবে সন্দেহ নেই। এটা রুখতে হবে। এতে সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার জন্যই এই ধর্মঘট।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement