প্রতীকী চিত্র।
গত বছর প্রায় একই সময়ে আচমকা করোনার ধাক্কায় বেসামাল হয়ে গিয়েছিল দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা। দীর্ঘ লকডাউনের জেরে দেশ জুড়ে বাড়ি থেকেই পড়াশোনা, কাজ করার জন্য বিপুল চাহিদা বাড়ে টেলিকম পরিষেবার। তার সঙ্গে মানানসই উপষুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে গোড়ায় বেশ ভুগতে হয়েছিল গ্রাহকদের বড় অংশকে। বছর ঘুরতে না-ঘুরতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউন না-হলেও ফের ঘরে বসে কাজের প্রবণতার বাড়ছে। ফলে প্রয়োজন বাড়ছে সুষ্ঠু টেলি পরিষেবার। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে গ্রাহকদের একাংশের সংশয়, ফের সমস্যা হবে না তো? গত বারের অভিজ্ঞতার নিরিখেই আবার টেলিকম ক্ষেত্রের আশ্বাস, এ বার পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকূলে।
শিল্পমহল সূত্রের খবর, লকডাউনের পরপরই নেটের চাহিদা প্রায় ২০% বেড়েছিল। ঘরে বসে কাজের পরিধি বাড়ায় কর্মস্থল এলাকা থেকে চাহিদার ভরকেন্দ্র সরে যায় বসতি এলাকাগুলিতে। উপরন্তু রাজ্যে আমপানের জেরে চালু পরিকাঠামোও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এই দুইয়ের প্রভাব পড়ে পরিষেবায়। এ বার মহারাষ্ট্র-সহ কিছু রাজ্যে আংশিক নিষেধাজ্ঞার পরে ফের ঘরে বসে কাজের প্রবণতা বাড়ছে। গ্রাহকদের একাংশের দাবি, বহু সময়ে ফোনে কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে বা নেট পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
টেলি শিল্পের দাবি, বাড়তি চাহিদার ভরকেন্দ্র বদলালে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে সময় লাগে। তবে তাদের সংগঠন সিওএআইয়ের ডিজি এস পি কোছর এবং টেলি পরিকাঠামো সংস্থাগুলির সংগঠন টাইপা-র ডিজি টি আর দুয়ার আশ্বাস, কর্মীরা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে দিনরাত কাজ করছেন।
সূত্র জানাচ্ছে, গত বারের অভিজ্ঞতার নিরিখে বহু গ্রাহকই তারযুক্ত নেট পরিষেবা নিয়েছেন। যার জেরে গত এক বছরেই এই সংযোগ বেড়েছে ১৯%। যা দীর্ঘ দিন প্রায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল। টাওয়ারের সংখ্যা ও তার মানও জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি নিলামে বিক্রি হওয়া স্পেকট্রাম ধাপে ধাপে সংস্থাগুলিকে বরাদ্দ করছে কেন্দ্র। অদূর ভবিষ্যতে তা-ও কাজে লাগাতে পারবে তারা। সব মিলিয়ে টেলিকম ক্ষেত্র আশ্বাস দিচ্ছে বটে, তবে শেষ পর্যন্ত পরিষেবা কতটা মেলে, সে দিকেই তাকিয়ে গ্রাহকেরা।