—ফাইল চিত্র।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ফের ঊর্ধ্বমুখী। বৃহস্পতিবার ব্যারেল প্রতি জ্বালানিটির দর ৬৭ ডলার ছাড়িয়েছে, যা গত তিন মাসে সর্বোচ্চ। আর তার জেরে ভারতেও ফের বাড়তে শুরু করেছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। যাকে অস্ত্র করে এ দিন মোদী সরকারকে খোঁচা দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেনি কংগ্রেস।
আজ, শুক্রবার কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটার পিছু পেট্রল ও ডিজেল পড়বে যথাক্রমে ৭৭.৪০ এবং ৬৯.৬৬ টাকা। বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৬ পয়সা ও ১৬ পয়সা বেশি। বেশ কয়েক দিন ধরেই বাড়ছে ডিজেলের দর। এখন তা প্রায় তিন মাসের সর্বোচ্চ সীমার আশেপাশে। একটা সময় পর্যন্ত কলকাতায় পেট্রলের দর থেমে থাকলেও গত দু’দিন ধরে তা ফের মাথা তুলছে। এ বছর পেট্রল সর্বোচ্চ যে দামে পৌঁছেছিল, ফের তার কাছাকাছি পৌঁছেছে।
দিল্লিতে দুই পণ্যের দাম উল্লেখ করে টুইটারে কেন্দ্রকে বিঁধেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। তাঁর দাবি, মোদী সরকারের নীতিতে নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের। আলু-পেঁয়াজের সঙ্গে পেট্রল-ডিজেলের দামও চড়া হচ্ছে। ছ’মাসে দিল্লিতে পেট্রলের দাম বেড়েছে লিটারে ২.৮৮ টাকা। লিটার পিছু ৬৭ টাকা পার করেছে ডিজেল।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর বৃদ্ধির পরে দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়তে সাধারণত কয়েক দিন সময় লাগে। তবে তেল সংস্থা সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রল-ডিজেলের দৈনিক দামও দেশের বাজারে দুই জ্বালানির দাম নির্ধারণে প্রভাব ফেলে। কিন্তু মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, গত কয়েক বছরে কেন্দ্র উল্লেখযোগ্য ভাবে উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়েছে। সে কারণেই দেশে তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অতিরিক্ত বেড়েছে।
এই অবস্থায় বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ফের মাথা তুলতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, শুল্ক-যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে চুক্তির সম্ভাবনা, মার্কিন তেলের মজুত কমা, ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির তেলের জোগানে রাশের মতো কারণে অশোধিত তেলের দর বাড়ছে। তার প্রভাব পড়ছে দেশেও।