গত ১৭ মার্চ অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমে দাঁড়িয়েছিল ব্যারেল প্রতি ৭২.৪৭ ডলার। প্রতীকী ছবি।
চিনের ‘শূন্য কোভিড নীতি’ বিশ্বের তেলের বাজারে একটা সময়ে সংশয় তৈরি করেছিল। কিন্তু তার থেকে বেরিয়ে এসে এ বার জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে বেজিং। কিন্তু সেই খবরও তেলের বাজারকে আশ্বস্ত করতে পারল না। মাসখানেক চড়লেও এ সপ্তাহে ফের নিম্নমুখী অশোধিত তেলের দাম। সোমবারের পর মঙ্গলবারও বিশ্ব বাজারে পণ্যটির দর পড়ল। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলায় আমেরিকায় সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং তার জেরে আর্থিক বৃদ্ধিতে ধাক্কার আশঙ্কাই এর প্রধান কারণ। একটি অংশের আবার বক্তব্য, তেলের দাম কমলে ভারতের মতো জ্বালানি আমদানিকারী দেশের খরচ কমবে ঠিকই, কিন্তু অর্থনীতির শ্লথ হওয়ার আশঙ্কা উদ্বেগের।
গত ১৭ মার্চ অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমে দাঁড়িয়েছিল ব্যারেল প্রতি ৭২.৪৭ ডলার। তার পর থেকে ফের শুরু হয় দরের চড়াই। দিন পাঁচেক আগে তা ৮৭ ডলার ছাড়ায়। ফলে গোটা বিশ্বেই আশঙ্কা দানা বাঁধতে থাকে জ্বালানির দাম ঘিরে। সেটি আরও চড়লে অদূর ভবিষ্যতে ফের মূল্যবৃদ্ধির হার বাড়বে কি না, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়। ইতিমধ্যে চিনে কোভিড নীতি শিথিল হওয়া এবং জিডিপি বৃদ্ধি তেলের দাম চড়ার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করলেও, অন্যান্য কারণ তেলের দামকে উল্টো পথে চালনা করছে বলে চর্চা বাজারে। এ দিন এক সময়ে ব্রেন্ট ক্রুডের দর ৮২.৪৪ ডলারে নেমে আসে। রাতের দিকে তা ছিল ৮৪.৪১ ডলার। আর এক অশোধিত তেল ডব্লিউটিআই কমে হয় ৮০.৪৬ ডলার।
আমেরিকায় ফের সুদ বৃদ্ধির ইঙ্গিতের বিষয়ে ব্রোকারেজ সংস্থা ওএএনডিএ-র কর্তা ক্রেগ আর্লামের বক্তব্য, ঋণ পাওয়া কঠিন হলে তা বছরের বাকি সময়ে আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলবে, তার উপরে নির্ভর করবে তেলের গতিবিধি।
অন্য দিকে, রাশিয়া থেকে ভারতের সস্তায় তেল কেনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশে আপত্তি উঠলেও বিপি-র মুখ্য অর্থনীতিবিদ স্পেনসার ডেলের বক্তব্য, তাতে পশ্চিমী দুনিয়া ‘খুশি’। কারণ, এতে এক দিকে যেমন বাজারে তেলের জোগান ঠিক থাকছে, তেমনই রাশিয়ার তেলের দরের ঊর্ধ্বসীমাও বেঁধে রাখা গিয়েছে।