—ফাইল চিত্র।
দু’দিন আগেই চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপির পূর্বাভাস ছাঁটাই করেছে ফিচ, ইন্ডিয়া রেটিংস, গোল্ডম্যান স্যাক্সের মতো মূল্যায়ন সংস্থা। দায়ী করেছে কেন্দ্রের তরফে সরাসরি ত্রাণের অভাবকে। এ বার তাদের আশঙ্কায় সুর মেলাল ক্রিসিল এবং ইক্রা। ক্রিসিল জানিয়েছে, এ বছর দেশের অর্থনীতি সরাসরি ৯% সঙ্কুচিত হতে পারে। মে মাসে ৫% সঙ্কোচনের পূর্বাভাস দিয়েছিল তারা। অন্য দিকে ইক্রার বক্তব্য, সঙ্কোচনের হার ছুঁতে পারে ৯.৫%।
অতিমারির ধাক্কায় এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনীতি এক বছর আগের তুলনায় সরাসরি ২৩.৯% সঙ্কুচিত হয়েছে। ক্রিসিলের ব্যাখ্যা, ভারতে করোনার সংক্রমণ এখনও সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছয়নি। ফলে অর্থনীতিকে আরও বেশ কিছু দিন এর ধাক্কা সামলাতে হবে। পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সহজ হত, যদি কেন্দ্র সাধারণ মানুষকে সরাসরি আর্থিক ত্রাণ দিতে পারত। বাস্তবে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সেই নাগরিকদের পকেটের উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে সরকারকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও সম্প্রতি কেন্দ্রকে সতর্ক করে বলেছিলেন, এখনই ত্রাণ না-দিলে অর্থনীতির জন্য বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।
তবে সরকারের যে আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, রিপোর্টে তা মেনে নিয়েছে ক্রিসিল। লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে কেন্দ্রের মন্ত্রী এবং আধিকারিকেরা অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখতে পেলেও ক্রিসিল বলেছে, সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকেও সঙ্কোচনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। বরং তা ১২% সঙ্কুচিত হতে পারে।