—প্রতীকী চিত্র।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার আগে আবাসনের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য গৃহঋণের সুদ এবং আসলে করছাড়ের সীমা আরও বাড়ানোর আর্জি জানাল সংশ্লিষ্ট শিল্পের সংগঠন ক্রেডাই। সেই সঙ্গে কম দামি আবাসনের সংজ্ঞাতেও বদল আনার আবেদন করেছে তারা।
অতিমারিতে বাড়ি থেকে কাজ-পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি হওয়ায় আবাসনের চাহিদা বেড়েছিল ঠিকই। কিন্তু সেই চাহিদা পুরদস্তুর বিক্রিতে পরিণত হওয়ার আগেই বাধ সেধেছে কাঁচামালের চড়া দামে তার দর হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যাওয়া। পাশাপাশি, মূল্যবৃদ্ধি যুঝতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক টানা ২৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে গৃহ-গাড়ির মতো ঋণের উপরে। যে কারণে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে বাড়ি কেনার পথে হাঁটছেন না। ফলে বেশি দামি আবাসনের চাহিদা থাকলেও, কম দামের ক্ষেত্রে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে বাজেটে আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় গৃহঋণের আসলে করছাড়ের অঙ্ক বৃদ্ধির সওয়াল করেছে ক্রেডাই। এখন যা বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা। সংগঠনটির মতে, সেটা না হলে আসলের জন্য তার বাইরে আলাদা কর ছাড় দেওয়া হোক। বলা হয়েছে ২৪বি ধারায় সুদে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড়ের সীমা তোলার কথা। তারা চায়, হয় প্রথম বাড়ির ক্ষেত্রে তার ঊর্ধ্বসীমা না থাকুক, নয়তো তা ৫ লক্ষ হোক। উল্লেখ্য, পুরনো আয়কর ব্যবস্থায় এই ছাড় থাকলেও, নতুনে গৃহঋণের সুদ-আসলে ছাড় নেই।
পাশাপাশি, ২০১৭ সালের পরে দেশে কম দামি আবাসনের সংজ্ঞা পাল্টায়নি। এ জন্য বাড়ির দাম হতে হয় ৪৫ লক্ষ টাকার মধ্যে। মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাড়ি-ঘরের দাম বৃদ্ধির কথা ভেবে তা আরও বাড়ানোর দাবিও করেছে ক্রেডাই। তাদের বক্তব্য, ২০১৮ সালের জুন থেকে দেশে বাড়ির দাম বেড়েছে ২৪%। ফলে দাম ৪৫ লক্ষের মধ্যে রাখতে সমস্যা হয়। তাই কম দামির ক্ষেত্রে মেট্রো শহরে কার্পেট এরিয়া ৯০ বর্গমিটার পর্যন্ত ও অন্যান্য অঞ্চলে ১২০ বর্গমিটার পর্যন্ত করার দাবি করেছে তারা।