লকডাউনের সময়ে। সংগৃহীত চিত্র।
এক দিকে দ্রুত সংক্রমণ বাড়ায় আশঙ্কা। অন্য দিকে, অতিমারিকে রুখতে কাজকর্মে ফের সাময়িক তালা পড়বে কি না, তা নিয়ে সংশয়।
এই উভয়সঙ্কটের মধ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে মঙ্গলবার নবান্নে শিল্পমহলের সঙ্গে বৈঠক করল রাজ্য প্রশাসন। সূত্রের খবর, সংক্রমণের পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক, সে কথা উঠে এসেছে বৈঠকে। তবে শিল্পের সংশয় দূর করে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, এ রাজ্যে এখনই লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে না। নৈশ কার্ফু বা সময় বেঁধে লকডাউনের মতো সাময়িক নিষেধাজ্ঞারও কোনও ইঙ্গিত এ দিনের আলোচনায় মেলেনি। বরং রাজ্যের তরফে স্পষ্ট বার্তা, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে করোনা বিধি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং আরও কঠোর ভাবে মেনে চলুক সকলে।
সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের সর্বোচ্চ সংক্রমিতের রেকর্ড ভেঙেছে। ফলে মহারাষ্ট্র, দিল্লির মতো জায়গায় আংশিক লকডাউন, নৈশ কার্ফুর মতো বিধিনিষেধ শিল্প এবং ব্যবসায়ীদের চিন্তায় ফেলেছে আর্থিক কর্মকাণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কিন্তু সূত্রের খবর, তাদের নিশ্চিন্ত করতে প্রশাসন কর্তারা প্রথমেই কেন্দ্রের ঘোষণা মনে করিয়ে লকডাউনের আশঙ্কা খারিজ করেন। বরং শিল্পমহলকে জোর দিতে বলেন, সংস্থা, কারখানা, ব্যবসাস্থলে কঠোর করোনা বিধি পালনে।
সিআইআইয়ের পশ্চিমবঙ্গের ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষেন্দু চট্টোপাধ্যায়, বেঙ্গল চেম্বারের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অলোক রায় প্রমুখ বৈঠকের পরে জানান, তাঁরা সদস্যদের এ দিনের নির্দেশ ঠিক মতো মেনে চলার বার্তা পৌঁছে দেবেন। গত বছরের মতো এ বারও বাজারগুলি নিয়মিত পুরোদস্তুর ‘স্যানিটাইজ়’ করার উপর বৈঠকে জোর দেয় ভারত চেম্বার। বিভিন্ন বণিকসভা ও সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা-ও রাজ্য প্রশাসনের কাছে তুলে ধরে।