Indian Economy

করোনার জের, জিডিপি কমতে পারে ১৯ শতাংশ, বলছে সমীক্ষা

আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ) আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল ভারতের জিডিপি চলতি অর্থবর্ষে ৪.৫ শতাংশ কমে যেতে বা সঙ্কুচিত হতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২০ ১৫:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাসের ধাক্কার জিডিপির পতনের সঙ্কেত মিলেছিল আগেই। কিন্তু অভিঘাত যে এতটা তীব্র হবে তার আঁচ পাননি অর্থনীতিবিদদের অনেকেই। লকডাউনে ইতি টানা হলেও সংক্রমণের হার যে গতিতে বেড়ে চলেছে তাতে আর্থিক কার্যকলাপ কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি এক বছর আগের তুলনায় ১৯.২ শতাংশ কমতে পারে বলে ব্লুমবার্গ ইকনমিক্সের পূর্বাভাস। ৩১ অগস্ট পর্যন্ত আর্থিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই মত দিয়েছেন সংস্থার বিশেষজ্ঞেরা।

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ লক্ষ পেরনোর পরে আর্থিক বৃদ্ধির হার পুনরুদ্ধারের পথ অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজারে পৌঁছে যাওয়ায় আগামী দিনে আর্থিক কার্যকলাপে আরও বড় আঘাত আসতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের বিভিন্ন আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে ব্লুমবার্গের বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, করোনার আঘাতে আর্থিক ভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়ার দেশগুলির তালিকায় রয়েছে ভারত।

আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ) আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল ভারতের জিডিপি চলতি অর্থবর্ষে ৪.৫ শতাংশ কমে যেতে বা সঙ্কুচিত হতে পারে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীন ডিপার্টমেন্ট অব ইকনমিক অ্যাফেয়ার্স (ডিইএ)-এর তৈরি জুন মাসের আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্টেও একই শঙ্কার কথা বলা হয়েছিল। করোনাভাইরাসের আক্রমণের জেরে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকায় জিডিপির এই সঙ্কোচন হবে বলে জানানো হয়েছিল রিপোর্টে। ১৯৯৬ সাল থেকে ভারতের আর্থিক হাল পর্যালোচনাকারী ব্লুমবার্গের মতে, ভারতীয় অর্থনীতির ইতিহাসে এমন খারাপ পরিস্থিতি নজিরবিহীন।

Advertisement

আরও পড়ুন: আদালত অবমাননায় ১ টাকা জরিমানা প্রশান্ত ভূষণের, না দিলে তিন মাসের জেল

বস্তুত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগে থেকেই ভারতীয় অর্থনীতিতে ভাটা শুরু হয়েছিল। মার্চ শেষ থেকে শুরু করে চার দফায় প্রায় আড়াই মাস লকডাউনের জেরে আর্থিক কর্মকাণ্ড স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে সরকার এবং আমজনতার আয় তলানিতে ঠেকেছিল। জুলাই মাসে প্রকাশিত ডিইএ-র রিপোর্ট বলছে, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে রাজস্ব আদায় ৬৯ শতাংশ কমে যেতে পারে। ব্লুমবার্গের এপ্রিল মাসের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি এক বছর আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ কমতে পারে। তা কার্যত মিলতে চলেছে। আজ বার্কলে পিএলসির মুম্বই শাখার প্রধান রাহুল বাজোরিয়া বলেন, ‘‘ওই ত্রৈমাসিকটি ভারতীয় অর্থনীতিতে নজিরবিহীন আঘাত হেনেছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: আদালতের নিষেধ সত্ত্বেও হায়দরাবাদে মহরমের শোভাযাত্রা!​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement