বিজয় মাল্য।
বিজয় মাল্যকে দেউলিয়া ঘোষণা করার আর্জি নিয়ে সম্প্রতি লন্ডনের আদালতে গিয়েছে ঋণদাতারা। কেন তারা বকেয়ার চেয়ে কম টাকা নিতে রাজি হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ১৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জোটের আইনজীবী। সব মিলিয়ে ব্যাঙ্কগুলির কাছে বন্ধ হওয়া বিমান সংস্থা কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন কর্ণধারের বকেয়া প্রায় ১১৪.৫ কোটি পাউন্ড (প্রায় ১০,৩০৫ কোটি টাকা)। এই অবস্থায় বকেয়া আদায়ে ঋণদাতাদের মাল্যের অস্থাবর সম্পত্তি ব্যবহারে সায় দিল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। ওই সম্পত্তির মধ্যে ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজ় হোল্ডিংয়ের শেয়ারও রয়েছে। যা ২০১৬ সালে কালো টাকা লেনদেন প্রতিরোধ আইনে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
পলাতক আর্থিক অপরাধী আইনে অভিযুক্ত কোনও ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে মামলাকারী সংস্থা বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই আইনেই প্রাক্তন কিংফিশার কর্তা মাল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
আগেই বকেয়া উদ্ধারে বিশেষ আদালতে মাল্যের অস্থাবর সম্পত্তি ব্যবহারের ছাড়পত্র চেয়ে আর্জি জানিয়েছিল ঋণদাতার। ব্যাঙ্কগুলির জোটের আইনজীবী জানান, আদালত বাজেয়াপ্ত করা অস্থাবর সম্পত্তির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলেছে। যদিও খবর, আদালত ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। মাল্যের আইনজীবীর দাবি, আদালত ব্রুয়ারিজ়ের শেয়ার নিয়েই নির্দেশ দিয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য নির্দেশের কপির অপেক্ষা করছেন।