রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর কার্যালয়।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্বে ধাক্কা খাচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। রাষ্ট্রপুঞ্জের বাণিজ্য ও উন্নয়ন শাখার (ইউএনসিটিএডি) আশঙ্কা, এর ফলে চলতি বছরে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতির অঙ্ক দাঁড়াতে পারে ২ লক্ষ কোটি ডলার। বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির হার নামতে পারে ২.৫ শতাংশের নীচে। এই বিরূপ প্রভাবকে যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশগুলিকে সরকারি খরচ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউএনসিটিএডি-র কর্তা রিচার্ড কোজ়ুল-রাইট। তাঁর বক্তব্য, শুধু শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলির পক্ষে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সে কারণেই খোদ সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।
ইউএনসিটিএডি জানিয়েছে, করোনার জেরে উন্নয়নশীল দেশগুলির জিডিপি এ বছর ২২,০০০ কোটি ডলার কম হতে পারে। সবচেয়ে ধাক্কা খেতে পারে তেল ও অন্যান্য পণ্য রফতানিকারী দেশ। এই হিসেব অবশ্য চিনকে বাদ দিয়েই। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছিল, চিনের উৎপাদন ধাক্কা খাওয়ার ফলে যে দেশগুলি সবচেয়ে সমস্যায় পড়বে, তার মধ্যে উপরের দিকে রয়েছে ভারত।
রাইটের বক্তব্য, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আতঙ্কটা ভীষণ ভাবে ছড়িয়েছে। সেটাই উদ্বেগের। এই অবস্থায় সরকারগুলিকে খরচ বাড়াতে হবে। সে ক্ষেত্রে ক্ষতি কিছুটা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। মঙ্গলবারই রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, ২০০৯ সালের পরে এ বছর প্রথম বার আন্তর্জাতিক পর্যটন ক্ষেত্রে বিদেশি পর্যটক কমতে চলেছে। এই ক্ষেত্রে আনুমানিক ক্ষতির অঙ্ক দাঁড়াতে পারে ৫০০০ কোটি ডলার।