প্রতীকী ছবি।
মাত্র ১০ দিনেই ১.৩৭ লক্ষ সদস্য তুলেছেন প্রায় ২৮০ কোটি টাকা। করোনা-সঙ্কট যুঝতে কর্মীরা কতখানি নাজেহাল, তার কিছুটা সম্ভবত স্পষ্ট কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) এই পরিসংখ্যানে। এরই মধ্যে অবশ্য সরকার জানিয়েছে, করোনায় নিজের বা পরিবারের চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের (এনপিএস) টাকাও আংশিক ভাবে তোলা যাবে।
লকডাউনে বিপাকে পড়া কর্মীরা যাতে আপাতত সংসার চালিয়ে নিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে ইপিএফের টাকা তোলার সুবিধা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। বলা হয়, তিন মাসের মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বা ইপিএফে জমা টাকার ৭৫%— এই দু’য়ের মধ্যে যেটা কম, সেটা তোলা যাবে। শুক্রবার ইপিএফও জানিয়েছে, দশ দিনে এমন ১.৩৭ লক্ষ দাবি মিটিয়েছে তারা। যার অঙ্ক মোট ২৭৯.৬৫ কোটি টাকা।
অনেকে বলছেন, আর্থিক সঙ্কটে পড়া কর্মী তোলা টাকা খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরতে পারবেন ঠিকই। কিন্তু লকডাউন দু’সপ্তাহ যেতে-না-যেতেই তাঁরা কতটা অসুবিধার মুখে, তা ওই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। তাঁদের দাবি, সাধারণত এই পরিমাণ ক্লেম হয় সারা মাসে। এ ক্ষেত্রে তা হয়েছে ১০ দিনে। যাঁদের ইপিএফে টাকা রয়েছে, তাঁদের বড় অংশ সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী। কিন্তু এ দেশে ৯০% কর্মীই কাজ করেন অসংগঠিত ক্ষেত্রে। পিএফ বা কোনও সামাজিক সুরক্ষা নেই দিনমজুর, ঠিকা কর্মীদের। তাঁদের কী অসহনীয় পরিস্থিতি, সেই প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।