Oil

সরবরাহ যথেষ্ট, দাম তবু থমকে 

মাসখানেক আগে ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দর ৫০-৫৫ ডলার থাকলেও, বেশি সরবরাহ ও কম চাহিদার সাঁড়াশিতে তা এখন রয়েছে ২৫ ডলারের আশেপাশে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০৪:১৯
Share:

ছবি রয়টার্স।

অশোধিত তেলের দাম তলানিতে। রয়েছে যথেষ্ট জোগানের আশ্বাস। তবু দেশের বাজারে মাথা উঁচু করে রয়েছে পেট্রল-ডিজেল। টানা ১৪ দিন দুই পেট্রোপণ্যের দর অপরিবর্তিত।

Advertisement

তেলের উৎপাদন ছাঁটাই নিয়ে ওপেক গোষ্ঠী ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। বাজারের দখল বাড়াতে উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এর পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম পড়তে থাকে। এখন করোনাভাইরাসের প্রকোপে বহু দেশে লকডাউন চলছে। জ্বালানির চাহিদাও তলানিতে। ভারত-সহ বিশ্বে তেলের চাহিদা প্রায় ২০% কমেছে। দেশে ও বিদেশে সবচেয়ে বেশি চাহিদা কমেছে বিমান জ্বালানির। অবস্থা এমন যে, অশোধিত তেলের শোধন কিছুটা নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছে ইন্ডিয়ান অয়েল, ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারিজ়। তবে প্রয়োজনে যাতে জোগানের সমস্যা না-হয়, সে দিকে নজর রাখছে কেন্দ্র ও তেল সংস্থাগুলি।

মাসখানেক আগে ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দর ৫০-৫৫ ডলার থাকলেও, বেশি সরবরাহ ও কম চাহিদার সাঁড়াশিতে তা এখন রয়েছে ২৫ ডলারের আশেপাশে। এর পরেও অবশ্য ভারতে পেট্রল-ডিজেলের দরে নড়নচড়ন নেই। আজ, সোমবার পর্যন্ত টানা ১৪ দিন তা একই জায়গায় থমকে রয়েছে।

Advertisement

এই নিয়ে অনেকেই বিস্মিত। তাঁদের প্রশ্ন, এর পরে যদি আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দর মাথা তোলে, তা হলে কি পেট্রল-ডিজেলের দর এখান থেকেই বাড়বে? আর এক পক্ষের বক্তব্য, সম্প্রতি ওই দুই পেট্রোপণ্যের উৎপাদন শুল্ক ও সেস বাড়িয়েছে কেন্দ্র। সে কারণেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার প্রভাব ভারতে পড়ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement