প্রতীকী ছবি
চারটি শাখা সংস্থার অফিস কলকাতা থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কোল ইন্ডিয়া (সিআইএল)। লকডাউন শেষ হলেই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরুর হুমকি দিয়েছে কর্মী ইউনিয়নগুলি। তাদের অভিযোগ, অনেক দিন ধরেই কয়লা মন্ত্রক কলকাতা থেকে সিআইএলের সদর দফতর সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বার শহর থেকে শাখা সংস্থাগুলির অফিস এমন একটা সময়ে সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যখন কর্মীদের প্রতিবাদ করার কোনও সুযোগ নেই। সিআইএল সূত্রের বক্তব্য, খরচ কমানোর উদ্দেশ্যেই ওই পদক্ষেপ।
রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা সংস্থাটির মোট পাঁচটি শাখা সংস্থা রয়েছে। সেগুলি হল ইসিএল, বিসিসিএল, এসইসিএল, এমসিএল এবং সিসিএল। সেগুলির কলকাতার দফতরে প্রায় ২০০ জন কর্মী কাজ করেন। এর মধ্যে চারটি শাখার কলকাতার অফিস অন্য রাজ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সদর দফতরে সরাতে নোটিস জারি করেছেন কোল ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংযোগ রক্ষার জন্য ইসিএলের একটি ছোট অফিস কলকাতায় রাখা হবে।
সিটু অনুমোদিত অল ইন্ডিয়া কোল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ডি ডি রামানন্দ এবং রাষ্ট্রীয় কোল মজদুর সঙ্ঘের সহ-সভাপতি অনুপ রায় বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে শাখা সংস্থাগুলির দফতর সরিয়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে আমরা আপাতত কোল ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। লকডাউন উঠে গেলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।’’ রামানন্দবাবুর বক্তব্য, শুধু শাখা সংস্থার অফিস সরানো নয়, কিছু দিন আগে সারা দেশে কোল ইন্ডিয়ার ১২টি আঞ্চলিক বিপণন দফতরের মধ্যে ১০টি বন্ধ করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। শুধু দিল্লি এবং মুম্বইয়ের সেলস অফিস দু’টি চালু রয়েছে।
এক সময়ে শিবু সোরেন কয়লামন্ত্রী থাকাকালীন কোল ইন্ডিয়ার সদর দফতর কলকাতা থেকে রাঁচিতে সরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হন। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। শনিবার রামানন্দবাবু বলেন, ‘‘গত লোকসভা নির্বাচনের আগেও কোল ইন্ডিয়ার সদর দফতর কলকাতা থেকে সরানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছিল কয়লা মন্ত্রক। ডিরেক্টরদের অফিস দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত এখনও কার্যকর না-হলেও, বাতিল হয়েছে এমন খবর নেই।’’ যদিও এই ধরনের সিদ্ধান্তের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ছন্দে ফেরা বিরাট চ্যালেঞ্জ, মত রাজনের