প্রতীকী ছবি
এক দিকে ক্রমাগত খারাপ খবর। অন্য দিকে লকডাউন শিথিল হয়ে ব্যবসা শুরুর আশা। দুয়ের রেষারেষিতে গত সপ্তাহে বাজারে বড় পতন বা উত্থান দেখা যায়নি। শুক্রবার সেনসেক্স থেমেছে ৩১,৩২৭ পয়েন্টে। নিফ্টি ভেসে আছে ৯০০০ পয়েন্টের উপরে। তবে পরিস্থিতি থমথমে। বহু ভাল শেয়ারের দাম ২৫%-৩০% নামলেও চাহিদা নেই। একই অবস্থা বেশির ভাগ ইকুইটি ফান্ডের। রক্তচাপ আরও বাড়িয়েছে ফ্র্যাঙ্কলিন টেম্পলটনের ২৩ এপ্রিল থেকে ছ’টি ঋণপত্র নির্ভর ফান্ডে (ডেট ফান্ড) লেনদেন বন্ধের পদক্ষেপ। সেখানে লগ্নিকারীদের ৩০,০০০ কোটি টাকা আটকে। অনেকেরই উদ্বেগ, আরও ফান্ড সংস্থা একই পথে হাঁটবে না তো? ফান্ড সংস্থাগুলির সংগঠন অ্যাম্ফির সভাপতি নীলেশ শাহ লগ্নিকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও, অনিশ্চয়তা পিছু ছাড়ছে না।
এই অবস্থায় করোনার মোকাবিলা নিয়ে আজ, সোমবার প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। শিল্প চাইছে লকডাউন পুরো তোলা না-হলেও, কাজ শুরুর জন্য শিথিল হোক শর্ত। কিছু দোকান খোলার অনুমতি মিলেছে ইতিমধ্যেই।
শিল্পে প্রাণ ফেরাতে ত্রাণ প্রকল্পের জন্যেও কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়ছে। কোষাগারের যা অবস্থা তাতে সরকার এই বিষয়ে দরাজ হতে পারছে না। তবে লকডাউন আংশিক শিথিল করে শিল্প ক্ষেত্রে কাজ চালুর অনুমতি দেওয়া হলে এবং পরের ধাপে ত্রাণ ঘোষণা করা হলে সূচক কিছুটা উঠতে পারে।
নজর যে-দিকে
• আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক। করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন নিয়ে কী কথা হয়।
• ব্যবসায়িক কাজ শুরুর জন্য আর কোনও ক্ষেত্রকে ছাড় দেওয়া হয় কি না।
চিন্তার কারণ
• আর্থিক কর্মকাণ্ডের থমকে থাকা।
• শিল্প ত্রাণ চাইলেও রাজকোষের সেই জোর আছে কি!
• ফ্র্যাঙ্কলিন টেম্পলটনের ছ’টি ফান্ডে লেনদেন বন্ধ হয়েছে। অন্যান্য ফান্ড সংস্থার অবস্থা কেমন?
এখন অবশ্য ডেট ফান্ডের লগ্নিকারীদের সজাগ থাকতে হবে। এই ফান্ডের তহবিলের বড় অংশ লগ্নি করা হয় কর্পোরেট বন্ড এবং অন্যান্য ঋণপত্রে। বহু সংস্থাই এখন ধুঁকছে। ফলে তারা সময় মতো বন্ডের সুদ দিতে এবং মেয়াদ শেষে বন্ডের দায় মেটাতে সমস্যায় পড়তে পারে। যে সব ফান্ডের টাকা ভাল রেটিংয়ের (‘AAA’) বন্ডে লগ্নি করা আছে, তাদের ঝুঁকি খাতায়-কলমে কম। কিন্তু যাদের তা নয়, তাদের ঝুঁকি থাকবেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে কম রেটিংযুক্ত বন্ড বাজারে বিক্রি করা কঠিন। যে কারণে ফান্ড ভাঙিয়ে টাকা তোলার চাপ মেটানোও শক্ত ফান্ড সংস্থাগুলির পক্ষে। তবে এই চাপ কাটাতে সেবির নিয়মে ফান্ডগুলি মোট সম্পদের ২০% পর্যন্ত টাকা ঋণ নিতে পারে।
(মতামত ব্যক্তিগত)
আরও পড়ুন: সোনার ব্যবসার এই ছবি অচেনা
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.i• ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)