Mobile Network

ফোনে প্রি-পেড প্রকল্পে মেয়াদ মিলছে বাড়তি

লকডাউনে অধিকাংশ দোকান বন্ধ থাকায় মোবাইলের বহু প্রি-পেড গ্রাহক রিচার্জ করাতে গিয়ে ফাঁপড়ে পড়েছেন। কারও সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০ ০৬:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ২১ দিন লকডাউনের পথে হাঁটছে গোটা দেশ। তার আগে কেন্দ্রের এক দফা ‘জনতা কার্ফু’ ও রাজ্যে সাময়িক লকডাউনও হয়েছে। এ সবের জেরে অধিকাংশ দোকান বন্ধ থাকায় মোবাইলের বহু প্রি-পেড গ্রাহক রিচার্জ করাতে গিয়ে ফাঁপড়ে পড়েছেন। কারও সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এই সমস্যা দূর করতে সংস্থাগুলিকে মোবাইলে ভরা ভাউচারের সময়সীমা (ভ্যালিডিটি) ২১ দিন বাড়াতে বলেছিল নিয়ন্ত্রক ট্রাই। সোমবার সেই আর্জিতে সাড়া দিল বিএসএনএল, এমটিএনএল, এয়ারটেলের মতো সংস্থা। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাগুলি সব গ্রাহকদের জন্যই সেই সুবিধা দিলেও, এয়ারটেল তা দেওয়ার কথা বলেছে কম খরচ করেন, এমন গ্রাহকদের। সংস্থাগুলির এই উদ্যোগে বিশেষ করে গরিব গ্রাহকেরা উপকৃত হবেন, দাবি কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের।

Advertisement

প্রবীণ গ্রাহক-সহ অনেকে এখনও দোকান বা টেলিকম সংস্থাগুলির বিপণির উপর নির্ভরশীল। যেমন কাঁকুড়গাছি এলাকার এক প্রবীণ গ্রাহকের দাবি, বিদেশে থাকা ছেলের সঙ্গে যোগোযোগের ভরসা মোবাইল ফোন হলেও, তিনি নিজে রিচার্জ করতে পারেন না। তাঁর ‘আউটগোয়িং কল’ বন্ধ হয়েছে গত শনিবার। বাগমারি এলাকার গাড়ি চালক সৌমেন পাত্র জানান, ২৫ মার্চ ভাউচারের সময়সীমা শেষ হয়েছে। পাড়ার দোকানে গিয়েই সাধারণত তিনি রিচার্জ করেন। ফলে বিপদে পড়েছেন।

ট্রাইয়ের মতে

Advertisement

• সকলে অনলাইনে মোবাইলে (প্রিপেড) টাকা ভরাতে (রিচার্জ) পারেন না।

• লকডাউনে অনেক দোকান বন্ধ থাকায় রিচার্জ করানো সমস্যা।

• তাই গ্রাহকের রিচার্জের সময়সীমা শেষ (ভ্যালিডিটি) হলে, তা লকডাউনের সময়টুকুতে বাড়াক সংস্থাগুলি।

টেলি-সংস্থার সাড়া

• ২২ মার্চ থেকে যাঁদের সময়সীমা শেষ হয়েছে, বিএসএনএল তা বাড়াল ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।

• সঙ্গে সেই সব গ্রাহকদের দিল ১০ টাকা অগ্রিম ‘টক টাইম’।

• পরের রিচার্জে অবশ্য তা কেটে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি।

• এয়ারটেল ৮ কোটি গ্রাহকের জন্য সময়সীমা বাড়াল ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত।

• তারাও গ্রাহকদের দিল বাড়তি ১০ টাকার ‘টক টাইম’।

বস্তুত ট্রাইও বলেছিল, লকডাউনের জন্য গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র বা বিপণিগুলির কাজকর্মে প্রভাব পড়তে পারে। তখন যাঁরা দোকানে গিয়ে রিচার্জ করান, তাঁরা মুশকিলে পড়বেন। তাই ২১ দিন পর্যন্ত রিচার্জের সময়সীমা বাড়াক কেন্দ্র। যাতে ফোনে টাকা না-থাকলেও এর ফলে অন্তত ততদিন ‘ইনকামিং কল’ চালু থাকবে। বিএসএনএল জানিয়েছে, ২২ মার্চ ও তার পর থেকে লকডাউনের মধ্যে যে সব গ্রাহকের ভাউচারের মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাঁদের সময়সীমা ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে তাঁদের কারও ফোনে টাকা থাকলে তাঁরা ফোন করতেও (আউটগোয়িং কল) করতেও পারবেন। যাঁদের টাকা শেষ হবে, তাঁদের জন্য আগাম ১০ টাকার ‘টক টাইম’ দিচ্ছে সংস্থাটি। পরের রিচার্জের সময়ে তা কেটে নেওয়া হবে। এয়ারটেলের দাবি, পরিযায়ী শ্রমিক ও দৈনিক মজুরেরা উপকৃত হবেন তাদের আনা সুবিধায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement