প্রতীকী ছবি
করোনা মোকাবিলায় লকডাউন চললেও থেমে নেই সংযুক্তি ও অধিগ্রহণ। গত সপ্তাহে ফেসবুকের সঙ্গে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ় হাত মেলানোর পরে সোমবার, এই সপ্তাহের শুরুর দিনেই কেকেআরের কাছে নিজেদের ৩১w৭ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বিক্রির কথা জানাল শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠী। এ জন্য কেকেআরের সঙ্গে ১৫৫৪ কোটি টাকার চুক্তির করেছে তাদের শাখা শাপুরজি পালোনজি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ক্যাপিটাল (এসপি ইনফ্রা)।
সংক্রমণ রুখতে প্রায় সারা পৃথিবী ঘরবন্দি। ভারতেও আপাতত ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন চলার কথা। তার মধ্যে বিভিন্ন সংস্থাই কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের ব্যবস্থা করেছে। আর তার সুযোগ নিয়েই সংস্থাগুলি নিজেদের মধ্যে চুক্তির জন্য কথা চালাচ্ছে। আজ এসপি ইনফ্রা জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রে ১৬৯ মেগাওয়াট এবং তামিলনাড়ুতে ১৪৮ মেগাওয়াটের মোট পাঁচটি প্রকল্প কেকেআরকে বিক্রি করবে তারা।
ভারতে ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা মেরিল লিঞ্চের ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং ব্যবসার প্রধান রাজ বালকৃষ্ণনের মতে, এ দেশে বেশির ভাগ বড় সংস্থা ও ব্যাঙ্কেরই মূল পরিকাঠামো ও ব্যবসা বাড়ি থেকে চালানোর মতো ব্যবস্থা রয়েছে। যে কারণে বিশেষত চুক্তির আলোচনা করতে আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রের অসুবিধা হচ্ছে না। লকডাউনের মধ্যেই এসবিআই কার্ডের প্রথম ছাড়া শেয়ার নথিভুক্তি থেকে শুরু করে এইচডিএফসি লাইফের ব্লক ডিলের মতো কাজ করেছে তারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরবন্দি থেকেও যে ভাবে সংস্থাগুলি জোট বাঁধছে, অধিগ্রহণ করছে ও বাজার থেকে টাকা তোলার পথে হাঁটছে, তাতে ভবিষ্যতে চুক্তির আলোচনার মতো নানা ক্ষেত্রে আর হয়তো সামনাসামনি দেখা হওয়ার প্রয়োজন থাকবে না। বালকৃষ্ণন বলেন, এমনিতে অফিসে গিয়ে কাজের হয়তো বিকল্প নেই। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কারেরা বাড়ি থেকেও তার ৯০%-৯৫% কাজ করতে পারছেন, যা আশার কথা।
আরও পড়ুন: মিউচুয়াল ফান্ডে ৫০ হাজার কোটির প্যাকেজ ঘোষণা করল আরবিআই