প্রতীকী ছবি
এ বছর বিশ্ব অর্থনীতি যে সঙ্কোচনের মুখ দেখবে, সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাঙ্ক-সহ সমস্ত মহলই নিশ্চিত। চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইটালির মতো যে সমস্ত দেশে প্রথম করোনার ধাক্কা লেগেছিল, তাদের কলকারখানার উৎপাদন ইতিমধ্যেই কমেছে। শনিবার আইএমএফ জানাল, বিশ্ব অর্থনীতি ‘ভয়ানক মন্দার’ মুখোমুখি হতে চলেছে বছরের প্রথমার্ধেই। এর পরে তা কোন পথে পা রাখবে, তা নির্ভর করছে করোনা মোকাবিলায় দেশগুলির মুন্সিয়ানার উপর। বিরূপ প্রভাব যে বেশি পড়বে আর্থিক ভাবে দুর্বল দেশগুলির উপরে, তা নিয়েও সতর্ক করেছে তারা।
আইএমএফ কর্ণধার ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা জানান, বাণিজ্য যুদ্ধ-সহ নানা কারণে বিশ্ব অর্থনীতি প্রত্যাশিত গতিতে এগোতে পারছিল না। করোনা তাকে আরও এলোমেলো করেছে। তাঁর বক্তব্য, যে সমস্ত দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল এবং আর্থিক অবস্থাও পোক্ত নয়, তাদের নীতি নির্ধারকেরা সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার ফল ইতিমধ্যেই ভুগছে এই দেশগুলি। তার উপর রয়েছে বিদেশি পুঁজি সরা, অন্য দেশ থেকে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ ধাক্কা খাওয়ার মতো সমস্যাও।
আইএমএফের তথ্য বলছে, করোনার মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের সরকার ও শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলি মোট ১৪ লক্ষ কোটি ডলার খরচ করেছে। আইএমএফ এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কও তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করছে। এই তহবিল শক্তিশালী করতে উন্নত দেশগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: বাজার দখলের লড়াইয়ে স্থানীয় সংস্থা