প্রতীকী ছবি
কোথাও কাঁচামাল পেতে কালঘাম ছোটার দশা। কোথাও আবার কঠিন হচ্ছে কর্মীদের কারখানায় আনাই। এই সমস্ত বাধা দ্রুত না-সরালে, লকডাউনের জেরে শিল্পের বন্ধ থাকা ইঞ্জিন ফের চালু করা মোটেই সহজ হবে না বলে জানাচ্ছে বণিকসভা সিআইআইয়ের সমীক্ষা।
ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, কাঁচামাল আনা বা তৈরি পণ্য বাজারে পাঠানো- দু’ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়ছে অধিকাংশ সংস্থা। সমীক্ষায় সংস্থাগুলির ১৫% জানিয়েছে, ওই নেওয়া-দেওয়া মোটামুটি সময়ে করতে পারছে তারা। ৩৯% দেরির সমস্যার কথা জানিয়েছে। আর কাঁচামাল পাওয়াই যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ২৩% সংস্থার। ‘রেড জ়োন’ এবং পুর এলাকায় কারখানা বা ব্যবসা হওয়ার কারণে ঝাঁপ বন্ধ রাখতে বাধ্য হওয়ার কথা জানিয়েছে যথাক্রমে ১৬% ও ২০% সংস্থা। মাথাব্যথা কর্মীদের আনাও। লকডাউনের মধ্যে বেরোনোর জন্য যে পাস প্রয়োজন, কর্মীদের তা না-পাওয়া বা পেতে দেরি হওয়ার কথা জানিয়েছে ৪২% সংস্থা। দুই-তৃতীয়াংশ জানাচ্ছে, বাড়ি থেকে কর্মীদের আনা বড় মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের।
কর্মীদের আনার ঝক্কি না-কমলে, শিল্পের স্বাভাবিক হওয়া কঠিন, জানান সিআইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৯% সংস্থার আশঙ্কা, খোলার পরে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে, হেনস্থা হবে কর্তৃপক্ষের।