—ফাইল চিত্র।
মুদিখানার মতো অত্যাবশ্যক পণ্যের দোকান তো বটেই।
খোলার ছাড়পত্র পেয়েছে অধিকাংশ অন্যান্য বিপণিও। এ বার শপিং মলের ভিতরের দোকান খোলা নিয়েও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানালেন শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
লকডাউনে টানা দু’মাসেরও বেশি দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য হওয়া ব্যবসায়ীদের প্রতি মন্ত্রীর আশ্বাস, আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য যে ৩ লক্ষ কোটি টাকা সহজে ধার পাওয়ার সুবিধার কথা বলা হয়েছে, তার সুযোগ নিতে পারবেন খুচরো ব্যবসায়ীরাও। ছোট-মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞায় সম্প্রতি যে বদল করা হয়েছে, তার দরুনও ওই ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে বলে তাঁর দাবি। একই সঙ্গে তাঁর আশ্বাস, সাধারণ মানুষ উপলব্ধি করেছেন, করোনা-সঙ্কটের এই কঠিন সময়ে তাঁদের পাশে থেকেছে পাড়ার ছোট দোকানই। তাই ই-কমার্স দৈত্যদের সঙ্গে লড়াইয়ে তাদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বরং আগামী দিনে তারা যাতে ব্যবসা বাড়াতে পারে, তার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার চেষ্টা করছে সরকার। বন্দোবস্ত করতে চাইছে কম সুদে পুঁজির জোগানেরও।
গয়ালের বক্তব্যকে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের ক্ষতে মলম দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন অনেকেই। কারণ, নোটবন্দি ও তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর জন্য মোদী সরকারের উপরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তাঁদের বড় অংশ। তার উপরে লকডাউনের গোড়ায় যে ভাবে ছোট দোকান বন্ধ থাকাকালীন হঠাৎ ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে অত্যাবশ্যক বাদে অন্যান্য পণ্য বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেওয়ায় সায় দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল খুচরো ব্যবসায়ীদের সংগঠন। পরে কেন্দ্র সেই অনুমতি বাতিল করে। এ দিনও সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতেই মন্ত্রী ই-কমার্সের সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনেছেন বলে অনেকের দাবি।
প্রশ্ন রয়েছে সস্তার ঋণ ঘিরেও। অনেকেই বলছেন, যে ছোট দোকানিরা টানা এত দিন কার্যত এক পয়সারও বিক্রিবাটা করতে পারেননি, কোন ভরসায় এখন ঝাঁপ তুলেই ঋণ নেবেন তাঁরা? তা সে সরকার যতই গ্যারান্টি দিক। আগামী ক’মাস বাজারে চাহিদা কেমন থাকবে, তা আঁচ করাই যেখানে কঠিন হচ্ছে, সেখানে খুব দায়ে না-পড়লে নতুন করে ধারের বোঝা কেউ ঘাড়ে নিতে চাইবেন কি?
গয়ালের অবশ্য দাবি, সামান্য হলেও মুখ তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছে অর্থনীতি। ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধা বুঝে তাঁদের সমস্যা সমাধানে অর্থ মন্ত্রকও এগিয়ে আসতে পিছপা হবে না বলে দাবি তাঁর।