ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর পরিকল্পনায় ঘাটতি থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে শ্রম আইন শিথিল করা। এ সবের বিরুদ্ধে বুধবার প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল সঙ্ঘেরই শ্রমিক সংগঠন বিএমএস। লকডাউনের মধ্যেও তা পুরো সফল, দাবি করলেন সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ উপাধ্যায়।
অভিযোগ উঠেছে, করোনার ‘সুযোগে’ উত্তরপ্রদেশ-সহ ১৪টি রাজ্য লগ্নি টানার নামে যে ভাবে শ্রম আইন শিথিল করেছে, বাড়াতে চেষ্টা করেছে দিনে কাজের সময় (৮ থেকে ১২ ঘণ্টা), তা ঘা মেরেছে শ্রমিক-স্বার্থে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল বিএমএস। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোয় পরিকল্পনার অভাব নিয়েও ক্ষোভ উগরেছে তারা। লকডাউনে বিপুল কর্মী ছাঁটাই ও বহু শ্রমিকের মজুরি না-পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। কেন্দ্রে মোদী সরকার ও শ্রম আইন শিথিল করা বহু
রাজ্যে বিজেপি সরকার থাকা সত্ত্বেও যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে অনেকের মত।
তবে একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের অভিযোগ, শুরুতে পরিযায়ী সমস্যাকে
আমলই দেয়নি বিএমএস। বরং দাবি করেছিল, তাঁদের জন্য যথাসাধ্য করছে কেন্দ্র। বলেছিল, সুরত, হায়দরাবাদে পরিযায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ আসলে তাঁদের উস্কে দেওয়ার ফল। এখন প্রবল বিরোধী জনমত ও চাপের মুখেই
প্রতিবাদের কথা বলছে তারা। আর তা ছাড়া, ত্রাণ প্রকল্পে কেন্দ্র যে ভাবে শ্রমিকদের বঞ্চিত করেছে, সে বিষয়ে বিএমএসের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে অনেক ইউনিয়ন।