Coronavirus

ক্ষতির ধাক্কায় ত্রস্ত গাড়ি শিল্প 

সিয়ামের হিসেবে মার্চে সব রকম গাড়ির বিক্রিই বিপুল কমেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি

অর্থনীতির ঝিমুনিতে বছর দেড়েক ধরে দেশের গাড়ি শিল্পের ব্যবসা কখনও ২০০৮ সালের বিশ্ব জোড়া মন্দার সময়ের থেকেও বেশি ধাক্কা খেয়েছে। কোনও মাসে বিক্রি এতটাই কমেছে যে, গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম বলেছে, ২২ বছরে এমন দুরবস্থা দেখা যায়নি। এই অবস্থায় করোনা-আতঙ্কের আবহে সদ্য শেষ হওয়া অর্থবর্ষের শেষ মাসে (মার্চে) কার্যত আরও তলিয়ে গেল গাড়ির পাইকারি ব্যবসা (যেখানে ডিলাররা সংস্থাগুলির থেকে গাড়ি কেনেন)। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, সংস্থাগুলির মোট দৈনিক ক্ষতির অঙ্ক প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা ছুঁয়েছে। লকডাউন ছাড়া করোনা থেকে বাঁচার পথ নেই। কিন্তু এমন অবস্থা চললে আগামী দিনে ক্ষতির বহর কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, এ কথা ভেবে রীতিমতো ত্রস্ত তাঁরা।

Advertisement

সিয়ামের হিসেবে মার্চে সব রকম গাড়ির বিক্রিই বিপুল কমেছে। সঙ্কট কাটাতে কেন্দ্রের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে তারা। ডিলারদের সংগঠন ফাডা-ও সাহায্যের আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। এপ্রিল জুড়ে লকডাউন। ফলে গাড়ি বিক্রির আশা নেই। শিল্প মহলের প্রশ্ন, তার পরে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ মিলবে তো? কী ভাবে ঘুরবে ব্যবসার চাকা? সেই অঙ্ক মেলানোই এখন সবচেয়ে বড় ধাঁধা তাদের কাছে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্র কিট দিচ্ছে না, জমছে নালিশ

Advertisement

সিয়ামের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ সালে সব ধরনের গাড়ি মিলিয়ে উৎপাদন কমেছে প্রায় ১৫%। আলাদা ভাবে সার্বিক যাত্রিবাহী গাড়ি, বাণিজ্যিক ও দু’চাকার গাড়ির উৎপাদন কমেছে যথাক্রমে ১৪.৭%, ৩২.৪% ও ১৪%। এর পর করোনা-আতঙ্কে গাড়ির শো-রুমে তালা পড়ায় মার্চের শেষ সপ্তাহে বিক্রিবাটা আর একদমই হয়নি। কারখানাও সব বন্ধ।

সিয়ামের প্রেসিডেন্ট রাজন ওয়াধেরার দাবি, আগামী দিনে জোগান, চাহিদা, ঋণ, সব ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ থাকবে। এই শিল্পের চাকা ঘোরাতে এই সব সমস্যার সমাধান জরুরি। ফাডার আর্জিগুলির অন্যতম, ঋণে সুদ মকুব, জিএসটি ছাঁটাই।

আরও পড়ুন: এমন যোগ্য শিক্ষক আর কোথায় পাব

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement