প্রতীকী ছবি।
মোদী সরকার অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখলেও, আর্থিক ও মূল্যায়ন সংস্থাগুলির দিক থেকে আসা দুঃসংবাদের ছুটি নেই। সকলেই বলছে, প্রতিষেধক এনে করোনাকে কাবু করা না-গেলে ক্রমাগত ধাক্কা খেতে থাকবে অর্থনীতিকে ছন্দে ফেরানোর প্রক্রিয়া।
সোমবার আন্তর্জাতিক ব্রোকারেজ সংস্থা ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা সিকিউরিটিজ়ের এক সমীক্ষায় দাবি, প্রতিষেধক পেতে দেরি হলে এই অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতি ৭.৫% পর্যন্ত সঙ্কুচিত হতে পারে। একই দিনে ধূসর পূর্বাভাস অন্য কয়েকটি সমীক্ষার রিপোর্টেও। মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস এবং মুডি’জ় ইনভেস্টর্স সার্ভিসেসের ইঙ্গিত, অদূর ভবিষ্যতে আর্থিক ক্ষেত্রের ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। বরং তাদের সম্পদের মানের অবনতি হতে পারে আরও। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও অবস্থা তথৈবচ। করোনার ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে এ বছর প্রবল ভাবে মাথাচাড়া দিতে পারে কর্পোরেট সংস্থাগুলির ঋণ।
অর্থনীতিতে কোভিড-প্রভাব নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে নানা সংস্থা। ভারতীয় অর্থনীতির ৪%-৭.২% সঙ্কোচনের ইঙ্গিত দিয়েছে তাদের অনেকেই। বলেছে, অতিমারী প্রথাগত বহু হিসেব ওলটপালট করেছে। ফলে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। ঠিক যে কথা সম্প্রতি বলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তার রেশ টেনেই ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা সিকিউরিটিজ় জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে এ দেশের অর্থনীতির ৪% ন্যূনতম সঙ্কোচন হবে। প্রতিষেধক আসতে দেরি হলে ৭.৫%। এটাই সর্বাধিক সঙ্কোচনের পূর্বাভাস।
মুডি’জ বলেছে, করোনার ধাক্কায় ভারত-সহ আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ক্রমশ দুর্বল হবে। বিরূপ প্রভাব পড়বে সম্পদের মান ও মুনাফায়। সরকার পুঁজি ঢাললে সেই চোট খানিকটা মেরামত হবে, তবে পুরোটা নয়। সম্প্রতি ভারত এবং কিছু ব্যাঙ্কের ক্রেডিট রেটিং কমিয়েছে মূল্যায়ন সংস্থাগুলি। ফিচ রেটিংস বলছে, আর্থিক ক্ষেত্রকে নিত্যদিন যে ভাবে লড়তে হচ্ছে তাতে এনবিএফআইগুলির স্বল্পমেয়াদে ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল। যার ধাক্কা পড়বে ঋণ, সম্পদের মান, অনুৎপাদক সম্পদের জন্য অর্থ সংস্থান, মুনাফা ও তহবিলে। অন্য এক সমীক্ষায় দাবি, আর্থিক বাদে অন্যান্য পরিষেবা সংস্থার আয় এ বছর কমতে পারে ২৫%।