প্রতীকী ছবি।
করোনার বিরূপ প্রভাব বিভিন্ন শিল্পে তো পড়বেই। রেহাই নেই ব্যাঙ্কেরও। সামগ্রিক অর্থনীতির পরে এ বার আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্র নিয়েও এমনই আশঙ্কার বার্তা এসঅ্যান্ডপি-র। মূল্যায়ন সংস্থাটির দাবি, ২০২০ সালে ভারতের ব্যাঙ্কগুলিতে এক দিকে যেমন অনুৎপাদক সম্পদ বাড়বে, তেমনই তার জন্য আর্থিক সংস্থান করতে গিয়ে ঋণ খাতে বাড়বে খরচ। ফলে চওড়া হবে ক্ষতির বহর।
ভারত ও চিন-সহ এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যাঙ্কগুলির হিসেবের খাতায় করোনার ক্ষত নিয়ে রিপোর্টটি তৈরি করেছে এসঅ্যান্ডপি। সেখানেই শুনিয়েছে চলতি বছর এই অঞ্চলের দেশগুলিতে ঋণ খাতে ৩০,০০০ কোটি ডলার খরচ বাড়ার আশঙ্কার কথা। দিয়েছে অনুৎপাদক সম্পদ ৬০,০০০ কোটি বৃদ্ধির ইঙ্গিত।
তবে যতটা আঁচ করা হচ্ছে, ব্যাঙ্কগুলির সঙ্কট তার থেকে বেশি হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেননি এসঅ্যান্ডপি-র ঋণ বিষয়ক বিশ্লেষক গাভিন গানিং। তাঁর মতে, করোনার জেরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতিতে বেশ কিছু দিন সংস্থাগুলি লগ্নির ঝুঁকি কম নিতে চাইবে। ফলে ত্রাণ এলেও, কমবে ঋণের চাহিদা। ভুগবে ব্যাঙ্ক। ধাক্কা খাবে তাদের রেটিং। অর্থাৎ তাদের ঋণ দেওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।
ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞ এবং ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএমডি ভাস্কর সেন বলেন, “ভারতে ব্যাঙ্কগুলিতে ব্যক্তিগত ও ক্রেডিট কার্ডে ঋণ-সহ ‘আনসিকিয়োর্ড’ ঋণের (যে ঋণে বন্ধক নেই বা তার পরিমাণ কম) হার মোট ঋণের ২৮%। যেহেতু ওই ঋণে ঝুঁকি বেশি, তাই সংস্থানও বেশি।”
করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের সরকার ও শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলি নানা ত্রাণ প্রকল্প আনছে। ভারতেও কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কিছু ত্রাণ দিচ্ছে। তবে গানিংয়ের মতে, সেগুলির সাফল্যের উপরেও নির্ভর করবে অনুৎপাদক সম্পদ বৃদ্ধি।