ছবি: পিটিআই।
করোনার আতঙ্কে ঘা লেগেছে রুজি-রোজগারে। এই অবস্থায় ফের ঋণগ্রহীতাদের স্বস্তি দিয়ে ফের ঋণে সুদ কমাল স্টেট ব্যাঙ্ক। এই নিয়ে টানা ১১ বার। বিভিন্ন মেয়াদে ঋণের তহবিল সংগ্রহের খরচের ভিত্তিতে হিসেব করা সুদ (এমসিএলআর) মঙ্গলবার ৩৫ বেসিস পয়েন্ট (১০০ বেসিস পয়েন্ট = ১ শতাংশ) কমানোর কথা জানিয়েছে তারা। এর ফলে এক বছরের মেয়াদে সুদ ৭.৭৫% থেকে কমে হবে ৭.৪%। ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে নতুন সুদ। স্টেট ব্যাঙ্কের দাবি, এতে এমসিএলআরের সঙ্গে যুক্ত সব মেয়াদের সমস্ত ধারেরই খরচ কমবে। কারও যদি ৩০ বছরের গৃহঋণ থাকে, তা হলে প্রতি ১ লক্ষ টাকায় প্রায় ২৪ টাকা কম ইএমআই দিতে হবে। তবে শুধু ঋণ নয়, ১৫ এপ্রিল থেকে সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমার উপরেও ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ ছাঁটছে স্টেট ব্যাঙ্ক। সেখানে ১ লক্ষ টাকার কম ও বেশি জমায় সুদ মিলবে ২.৭৫%। এত দিন ওই হার ছিল ৩%।
এ দিন কিছুটা হাসি ফুটেছে শেয়ারে লগ্নিকারীদের মুখেও। এক ধাক্কায় প্রায় ২৪৭৬ পয়েন্ট বেড়েছে সেনসেক্স। যা রেকর্ড। নিফ্টি বেড়েছে প্রায় ৭০৮ পয়েন্ট। লগ্নিকারীদের ঝুলিতে ফিরেছে ৭.৭১ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। কিছু দিন আগে নাগাড়ে সূচকের পতনে যাঁরা লক্ষ লক্ষ কোটি হারিয়েছেন। শেয়ার বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ দিন বাজার ওঠার মূলে আছে প্রথমত, ভারতে দ্বিতীয় দফার আর্থিক ত্রাণ প্রকল্পের সম্ভাবনা। দ্বিতীয়ত, বিশ্বের কয়েকটি জায়গায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কিছুটা কমা। ডলারের নিরিখে টাকার দামও বেড়েছে। ৪৯ পয়সা কমে ১ ডলার হয়েছে ৭৫.৬৪ টাকা।
তবে সব বিশেষজ্ঞই বলছেন, বাজারের অনিশ্চয়তা কেটেছে, এ কথা বলার সময় আসেনি। তাঁদের মতে, করোনার প্রকোপে গোটা বিশ্বে আর্থিক কর্মকাণ্ড কার্যত স্তব্ধ। ভারতেরও একই দশা। আগে অর্থনীতির ঝিমুনি আর এখন ভাইরাস, দুইয়ের জেরে বেকারত্ব চড়ছেই। ফলে করোনা আতঙ্ক কেটে যাওয়ার পরে অর্থনীতির চেহারাটা ঠিক কী হবে বলা যাচ্ছে না। যার ছায়া বাজারে বহাল থাকারই আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: ১ জন করোনা আক্রান্ত এক মাসে সংক্রমিত করতে পারে ৪০৬ জনকে!
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)