প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসকে রুখতে ঘরবন্দি মানুষ। রোগের সামান্য লক্ষণ দেখা গেলে ঝুঁকি না-নিয়ে নিভৃতবাসে যাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু কোন পথে এগোলে নিজের তিল তিল করে আয় করা টাকা নিরাপদে আগলে রাখা যাবে, বুঝতে পারছেন না বহু মানুষ। ঠাওর করতে পারছেন না, কী ভাবে, কোথায় বাড়বে সঞ্চয়। যতটা বাড়লে মূল্যবৃদ্ধির দৈত্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্বচ্ছন্দে বাঁচা সম্ভব।
করোনার সংক্রমণের পাশাপাশি অর্থনীতিতে খারাপ খবরের প্রবাহ অব্যাহত। অবাধে পড়ছে শেয়ার বাজার। তার প্রতিফলন শেয়ার নির্ভর ফান্ডেও। দু’ক্ষেত্রের লগ্নিকারীরাই খুইয়েছেন তাঁদের সম্পদের ২৫ থেকে ৩৩%। ব্যাঙ্কে তো সুদ কমেছেই। ১ এপ্রিল থেকে বিপুল সুদ কমেছে পিপিএফ, এনএসসির মতো স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পেও। অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণরা বেশি আঘাত পেয়েছেন পাঁচ বছরের সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস ও মাসিক আয় প্রকল্পের সুদ যথাক্রমে ৭.৪% ও ৬.৬ শতাংশে নামায়। আগে ছিল ৮.৬% ও ৭.৬%। স্টেট ব্যাঙ্কের ১ থেকে ১০ বছরের মেয়াদি জমায় যখন সুদ ৫.৭%, তখন স্বল্প সঞ্চয়ের ১ থেকে ৩ বছরের জমায় তা ৫.৫%।
করোনার আঘাতে ধুঁকছে বিশ্ব অর্থনীতি। ভারতেও স্তব্ধ কল-কারখানা। বন্ধ ব্যবসা-বাণিজ্য। বাড়ছে কাজ হারানোর ভয়। এই অবস্থায় এতটা সুদ ছাঁটাই বিরাট আঘাত সাধারণ মানুষের উপরে। সুদ কমলে মানুষ কোথায় টাকা রাখবেন, এই প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী শেয়ার বাজার ও ফান্ডের পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই পরামর্শ যে এখন অর্থহীন, তা আর বলার দরকার পড়ে না।
ডুবন্ত শেয়ার বাজার আঁকড়ে ধরার খড়কুটো পাচ্ছে না। বহু শেয়ারের দর লোভনীয় জায়গায় নেমেছে। কিন্তু সাহস করে কিনবে কে? কারণ তা যে আরও নামবে না, সেই নিশ্চয়তা কই!
(মতামত ব্যক্তিগত)