জিডিপি শূন্যের নীচে নামতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করল আরবিআই।
মাস দুয়েকের লকডাউনে থমকে যাওয়া অর্থনীতি ঠিক কতটা অন্ধকারে ডুবে যাবে, তার হাজারো পূর্বাভাস কাঁপুনি বাড়ছে প্রতি দিন। সেই কাঁপুনি আরও বাড়িয়ে শুক্রবার খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিল, কোভিড-১৯-এর ধাক্কা ভারতে যতটা ক্ষত তৈরি করবে বলে মনে করা হয়েছিল, বাস্তবে করেছে তার থেকে অনেক বেশি গভীর। ফলে চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি সঙ্কুচিত হওয়ারই আশঙ্কা। এমনকি চাহিদা এতটাই ধাক্কা খেয়েছে যে, মূল্যবৃদ্ধির হারেও অনিশ্চিয়তা তীব্র বলে দাবি করেছেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
গভর্নরের দাবি, ‘‘লকডাউন ও পারস্পরিক দূরত্ব বিধির জেরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। চাহিদা না-থাকা ও ভেঙে পড়া জোগান ব্যবস্থার মিলিত প্রভাব এই অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে আর্থিক কর্মকাণ্ডকে দমিয়ে রাখবে। ফলে অর্থবর্ষ শেষে জিডিপি শূন্যের নীচে থাকতে পারে।’’ শুক্রবার রেটিং বহুজাতিক মুডি’জ়ের-ও দাবি, চার দশকের মধ্যে এই প্রথম শূন্যের নীচে তলিয়ে যাবে ভারতের অর্থনীতি। এর আগে তারা ওই হার শূন্য হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল।
করোনার হানায় বিশ্ব অর্থনীতি ঝুলে রয়েছে মন্দার খাদে। লকডাউনে স্তব্ধ আর্থিক কর্মকাণ্ড ও উধাও চাহিদার জাঁতাকলে ভারতও মন্দার দিকে এগিয়ে চলেছে বলে ইঙ্গিত উপদেষ্টা সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাক্সের। তবে দাস বলছেন, এই অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতির কিছুটা হতে উন্নতি হতে পারে। যদিও তাঁর এই বার্তাও স্পষ্ট যে, অর্থনীতিকে এমন ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়নি এর আগে। এ দিন গভর্নর বলেন, কল-কারখানায় উৎপাদনের ৬০ শতাংশই হয় দেশের যে ছ’টি রাজ্যে, তারাই করোনা পরিস্থিতির নিরিখে রেড বা অরেঞ্জ জ়োনে। তাঁর বার্তা, ভবিষ্যতে অনেক কিছু নির্ভর করবে কত তাড়াতাড়ি করোনাকে থামানো যায়, তার উপরে।