প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা ভাবে সতর্ক হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নগদ টাকা লেনদেন নিয়েও সাবধান থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও টাকার নোট বা কয়েনের উপরে কিংবা মুক্ত পরিবেশে এই ভাইরাস কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে, তা নিয়ে কোনও গবেষণা হয়নি। কিন্তু অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণের নিরিখেই আপাতত এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলছেন তাঁরা।
ব্যবসায়ীদের অনেকের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে নগদহীন লেনদেন বাড়ানো হোক। ডিজিটাল লেনদেনে আরও জোর দেওয়ার কথা এর আগে বলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের প্রশ্ন, এমন লেনদেন চালানোর পরিকাঠামো সকলের আছে কি? এখন তড়িঘড়ি সেই ব্যবস্থা করাই বা কতটা সম্ভব? সাধারণ ভাবে সব ক্রেতাও তো নগদহীন লেনদেনে সড়গড় নন!
নগদ টাকা থেকে এই করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে কি না, সেই বিষয়টি নিয়ে বিশদ বিশ্লেষণের দাবি তুলে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে আর্জি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকেও চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের সংগঠন, কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সুশীল পোদ্দার বলেন, ‘‘আতঙ্ক তো রয়েইছে। তার উপরে ফেসবুকে, হোয়্যাটসঅ্যাপে নানান কথা ঘুরছে।’’
পরজীবী-রোগ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী বলছেন, অনেকেই থুতু দিয়ে টাকা গোনেন। সে ক্ষেত্রে কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির থুতু থেকে টাকার মাধ্যমে রোগ অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়াতে পারে। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘নোভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ টাকার উপরে বা কোনও খোলা জিনিসের উপরে কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে, তার কোনও নির্দিষ্ট গবেষণা হয়নি। তাই টাকায় থুতু লেগে থাকলে, তা কতক্ষণ পর্যন্ত সংক্রমণ ছড়াতে পারে সেটাও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে এটুকু বলা যায়, যদি থুতু লাগা টাকার লেনদেন সঙ্গে সঙ্গে বা খুব অল্প সময়ের মধ্যে হয় তা হলে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।’’
সুশীলবাবু জানান, নগদ টাকা লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাই এই পরিস্থিতিতে তাঁরা ভিন্ রাজ্য থেকে মাস্ক, স্যানিটাইজ়র এবং দস্তানা আনিয়ে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে বিলি করবেন।