Coronavirus in India

প্রভাব খতিয়ে দেখবেন অডিটরেরা

সাধারণত সংস্থাগুলি প্রথমে মুনাফা ও লোকসানের হিসেব তৈরি করে। পরে অডিটরেরা তা পরীক্ষা করেন

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

সংস্থাগুলির উপরে করোনার বিরূপ প্রভাব কতটা পড়ছে, তা তাদের চলতি (২০১৯-২০) অর্থবর্ষের হিসেব অডিট করার সময়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের সংগঠন আইসিএআই। এ নিয়ে জারি করা নির্দেশিকা সংগঠনের ৩ লক্ষ সদস্যের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থায় হিসেব তৈরির দায়িত্বে থাকা কর্তাদেরও অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে করোনার প্রভাব বুঝতে এ বার অডিট প্রক্রিয়া বদলানোর কথাও বলেছে আইসিএআই।

Advertisement

সাধারণত সংস্থাগুলি প্রথমে মুনাফা ও লোকসানের হিসেব তৈরি করে। পরে অডিটরেরা তা পরীক্ষা করেন। চলতি অর্থবর্ষের অডিটের সময়ে করোনার জেরে হওয়া সম্ভাব্য আর্থিক ও অন্য ক্ষতি সেই হিসেবে ঠিক মতো উল্লেখ করা হয়েছে কি না, তা দেখতে বলেছে আইসিএআই। না-হলে অডিটরদের দায়িত্ব হবে সংস্থা কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করে ঠিক ছবি অডিট রিপোর্টে তুলে ধরা। তা ছাড়া মঙ্গলবার চলতি অর্থবর্ষ শেষ হলেও অডিটের কাজ শেষ করতে আরও ক’মাস লাগবে। এর মধ্যে করোনার কারণে সংশ্লিষ্ট সংস্থায় আর্থিক ঝুঁকি বাড়ে কি না, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে।

আইসিএআইয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্ত বলেন, ‘‘করোনার জেরে সংস্থায় কী প্রভাব পড়তে চলেছে, লগ্নিকারীরা টাকা ঢালার আগে যাতে তা জানতে পারেন, সেই জন্য এই নির্দেশ।’’ পাশাপাশি, সংস্থাকে ঋণ দেওয়ার আগে যাতে ব্যাঙ্ক-সহ ঋণদাতারা স্বচ্ছ ছবি পায়, তা-ও মাথায় রাখা হয়েছে।

Advertisement

আইসিএআইয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট অতুল কুমার গুপ্ত বলেন, সংস্থা ছাড়াও করোনার প্রভাব ব্যাঙ্কের উপর কতটা পড়তে পারে, অডিটরদের তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। ব্যাঙ্কের শাখাগুলির অডিট শেষ করার সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত পিছোনো হয়েছে। মেয়াদি ঋণের কিস্তি তিন মাস দিতে হবে না বলে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তার উপরে বর্তমান অবস্থায় ঋণ শোধে সমস্যায় পড়তে পারে অনেক সংস্থা। তাই ব্যাঙ্কে কোনও ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না, তা ভাল করে দেখে অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement